ট্যাক্সিতে সিএএ বিরোধী আলোচনা, উবার চালক প্রতিবাদী কবিকে ঢুকিয়ে দিল থানায়

ট্যাক্সিতে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভের বিষয়ে আলোচনা।

শুনেই পুলিশ ডেকে আনল উবার চালক।

চূড়ান্ত হেনস্থা করা হল এক সমাজকর্মী তথা কবি-কে।

ঘটনাটি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বানিজ্যনগরী-তে।

amartya lahiri | Published : Feb 7, 2020 7:12 AM IST / Updated: Feb 07 2020, 04:08 PM IST

ট্যাক্সিতে বসে ফোনে আরেকজনের সঙ্গে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন বিরোধী বিক্ষোভের বিষয়ে কথা বলছিলেন সমাজকর্মী তথা কবি বাপ্পাদিত্য সরকার। গাড়ি চালাতে চালাতে তা কানে যেতেই উবার চালক তাঁকে নিয়ো সোজা চলে গেলেন থানায়। বুধবার রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে মুম্বই-এ।

আরও পড়ুন - গ্রেফতার প্রধানশিক্ষিকা ও এক অভিভাবিকা, সিএএ-বিরোধী নাটকে স্কুলে রোজ পুলিশি হেনস্থা

বৃহস্পতিবার, এই ঘটনার কথা জানিয়ে আরেক সমাজকর্মী কবিতা কৃষ্ণাণ এই ঘটনার কথা জানিয়ে পুরো বিষয়টিকে একটি  'ভয়ানক পর্ব' বলে বর্ণনা করেছেন। কৃষ্ণাণ জানিয়েছেন, বুধবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ জুহু থেকে কুর্লা যাওয়ার জন্য একটি উবার বুক করেন কবি বাপ্পাদিত্য সরকার। যাওয়ার পথে তিনি তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে ফোনে দিল্লির শাহিনবাগে 'লাল সেলাম' স্লোগান নিয়ে  প্রতিবাদীদের অস্বস্তি নিয়ে আলোচনা করছিলেন।

আরও পড়ুন - ইরফান পাঠানের কামারহাটি-র ভিডিও দেখিয়ে শাহীনবাগের প্রচার, ভুয়ো খবরে হইচই

চালক তা শুনে ট্যাক্সি থামিয়ে বাপ্পাদিত্য সরকার-কে বলেন তিনি এটিএম থেকে টাকা তুলতে চান। এই বলে গাড়ি থেকে মেনে ওই চালক দু'জন পুলিশকর্মীকে ডেকে আনেন বলে অভিযোগ। বাপ্পাদিত্যের সঙ্গে একটি 'ড্যাফলি' (এক ধরণরে তালবাদ্যযন্ত্র) ছিল। কেন তাঁর সঙ্গে ওই বাদ্যযন্ত্র রয়েছে সেই নিয়ে পুলিশ তাঁকে জেরা করে।

বাপ্পাদিত্যের উত্তরে পুলিশ সন্তুষ্ট হলেও তুষ্ট হননি ওই উবার চালক। বাপ্পাদিত্য একজন কমিউনিস্ট, এবং তানা দেশকে জ্বালিয়ে দেওয়ার ও মুম্বই-এ শাহিনবাগ তৈরির কথা বলেছেন বাপ্পাদিত্যকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের উপর চাপ দেন তিনি। এমনকী বাপ্পাদিত্যর কথাবার্তা তিনি রেকর্ড করেছেন বলেও দাবি করেন। শুদু তাই নয়, ওই প্রতিবাদী কবিকে তিনি বলেন, 'আপনারা দেশকে ধ্বংস করে দেবেন আর আমরা কি সেদিকে তাকিয়ে বসে থাকব'। থানায় না নিয়ে গিয়ে অন্য কোথাও-ও বাপ্পাদিত্য-কে তিনি নিয়ে যেতে পারতেন বলে ভয়ও দেখান।

আরও পড়ুন - সিএএ বিরোধী প্রতিবাদে থাকার 'অপরাধে' এবার এনআইএ-র জেরার মুখে গুয়াহাটি আইইটির শিক্ষক

থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশ তাকে তাঁর মতাদর্শ কী, কাদের লেখাপত্র পড়েন তিনি, বাবার বেতন কত, চাকরি না করেও কীভাবে তার দিন চলে, এইরকম গুচ্ছের প্রশ্ন করে। অবশেষে রাত ১ টার দিকে, এস গোহিল নামে আরও এক সমাজকর্মী থানায় আসার পর কবি বাপ্পাদিত্য সরকার ছাড়া পান। কৃষ্ণাণের টুইট অনুসারে পুলিশ তাকে 'ড্যাফলি' না নিয়ে চলা এবং লাল স্কার্ফ না পরার পরামর্শ দিয়েছিল। কারণ তাঁদের মতে 'পরিবেশ ভাল না এবং যে কোনও সময় যা কিছু ঘটতে পারে।

আরও পড়ুন - প্রতিবাদের মূলই অস্ত্রই কাগজ-কলম-বই, কলকাতা বইমেলাতে সিএএ নিয়ে সরব স্বরা

কৃষ্ণাণ ঘটনাটি টুইট করে মুম্বই পুলিশ এবং উবার সংস্তাকে জানিয়েছেন। মুম্বই পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাটির সম্পূর্ণ বিবরণ জানতে চাওয়া হয়েছে। 'উবার ইন্ডিয়া সাপোর্ট' জানিয়েছে, ঘটনাটি 'উদ্বেগজনক'। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই বিষয়টি তারা দেখবে।

 

Share this article
click me!