সংক্ষিপ্ত
- একটি সংবর্ধনা নিতে ডিসেম্বরে কামারহাটিতে এসেছিলেন ইরফান পাঠান
- প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রর উদ্যোগে কামারহাটিতে পা রাখেন তিনি
- ভুয়ো খবর রটিয়ে কামারহাটি কে বানানো হলো শাহীনবাগ
সম্প্রতি ইরফান পাঠানকে নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হয় ইন্টারনেটে। ভিডিওটি কলকাতায় কামারহাটিতে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের। গত ডিসেম্বরে কলকাতায় এসেছিলেন ইরফান। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রর অনুরোধে তিনি কামারহাটিতে আসতে রাজি হন। কিন্তু সেই ভিডিও নিয়ে রটে কিছু ভুয়ো খবর। ভিডিওটি দেখিয়ে দাবি করা হয় ইরফান পাঠান নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে উপস্থিত হয়েছেন দিল্লির শাহীনবাগে। ভিডিওটির শব্দগুলির ওপরও কাঁচি চালানো হয়। আসল আওয়াজের সাথে আরো কিছু কথা এডিট করে জোড়া হয় সাথে। তাতে পাকিস্তান জিন্দাবাদ নামে একটি গানও ভেসে উঠে কয়েকবার।
শাহীনবাগে শেষ কয়েকদিন ধরে অভিনব প্রতিবাদ দেখা গিয়েছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে। কপিল গুজ্জার বলে একজন কে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে প্রতিবাদীদের ওপর গুলি চালানোর ঘটনায়। তার মধ্যে এই ভিডিও। ভাইরাল ফেক ভিডিওটি হিন্দিতে লেখা একটি ক্যাপশনের সাথে শেয়ার করা হচ্ছিলো যার মূল বক্তব্য "শাহীনবাগে আরও এক সিংহ এসে উপস্থিত হয়েছে, তার নাম ইরফান পাঠান"।
কামারহাটি বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রের উদ্যোগে কামারহাটি ছাইময়দানে আসতে রাজি হযে হয়েছিলেন ইরফান পাঠান। ইরফান কে সংবর্ধনা দেওয়ার অনুষ্ঠানটি শুরু হওয়ার কথা ছিল পৌনে পাঁচটায়, কিন্তু তার বহু আগে থেকেই এলাকায় পা ফেলার জায়গা ছিল না। রাস্তায় জ্যাম এবং আরো কিছু বিশেষ কারণবসত ইরফান ছাই ময়দানে এসে পৌঁছন সোয়া ছটা নাগাদ। মদন মিত্রের সাথে মঞ্চে উঠেন ইরফান। স্টেজের সামনে তখন কয়েক শো মানুষ।পুলিশ ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যার্থ হয়েছিল। তার মধ্যেও মঞ্চে উপস্থিত বিশিষ্ট জনেদের এবং মদন মিত্রের হাত থেকে একাধিক স্মারক গ্রহণের পর মদন মিত্রের অনুরোধে মাঠে নামতে রাজি হয়েছিলেন ইরফান। এর আগে তিনি মঞ্চ থেকে সামনে উপস্থিত জনতাকে পুলিশদের সহযোগিতা করতে অনুরোধ করেন। তিনি আরো বলেন অন্য কোথাও গেলে তিনি যে উন্মাদনা দেখে থাকেন তার সঙ্গে কলকাতার উন্মাদনার কোনো তুলনাই হয় না, এইজন্য তিনি আপ্লুত, এবং আবার আসবেন সেই কথা দেন। এরপর কড়া পুলিশি প্রহরায় মাঠে নামেন ইরফান, আশেপাশের ভিড় দেখে মদন মিত্র উত্তেজিত হয়ে উঠলেও ইরফানের মধ্যে সংযম হারানোর কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। নিরাপত্তা জনিত কারণে মাঠে নামলেও কেবলমাত্র একবার ব্যাট ধরার পরেই তড়িঘড়ি তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।