ট্রেনে বোমা রাখা রয়েছে বলে ভুয়ো ফোন করেন পঞ্জাবের বাসিন্দা জয়সিং রাথার। রাজধানী এক্সপ্রেসে চড়তে বোমার হুমকি দেন তিনি।
রাজধানী এক্সপ্রেসে চড়তে বোমার হুমকি দিলেন যাত্রী। কেরলের এর্নাকুলাম থেকে ট্রেনটি ছাড়ার সময় ঘটনাটি ঘটে। হুমকির পর ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় শোরানুরে। বোমা স্কোয়াড যখন শোরানুরে চেক করছিল তখন যাত্রী ট্রেনে উঠেছিলেন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঞ্জাবের বাসিন্দা জয়সিং রাথারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রেল পুলিশ সূত্রে খবর, স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনে উঠতে বোমার হুমকি দিলেন এক যাত্রী। বলাই বাহুল্য তাঁকে কেরলের পালাক্কাড় জেলার শোরানুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উল্লেখ্য ট্রেনে বোমা রাখা রয়েছে বলে ভুয়ো ফোন করেন পঞ্জাবের বাসিন্দা জয়সিং রাথার। রাজধানী এক্সপ্রেসে চড়তে বোমার হুমকি দেন তিনি।
জয়সিং নামের ওই মার্বেল ব্যবসায়ী ব্যবসার উদ্দেশ্যে এর্নাকুলামে এসেছিলেন। পরিকল্পনা ছিল ভোরে রাজধানী এক্সপ্রেস এখান থেকে রওনা হবে। কিন্তু তিনি পৌঁছানোর সময় ট্রেনটি এর্নাকুলাম স্টেশন ছেড়ে দেয়। এরপরেই মিস করা ট্রেনে উঠতে ছক কষেন তিনি। ত্রিশুরের কন্ট্রোল রুমে ফোন করে হুমকি দেন যে ওই ট্রেনে বোমা আছে।
তারপর বাসে করে ত্রিশুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন জয়সিং। তিনি হিসেব করেছিলেন যে বোমা স্কোয়াডের আধিকারিকরা পরিদর্শনের জন্য ট্রেনটিকে ত্রিশুরে আটকাবেন। যে সময় ধরে তাঁরা তল্লাশি চালাবেন, সেই সময়ের মধ্যে তিনি ট্রেনে উঠে পড়বেন ও নিজের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে বসে পড়বেন। কিন্তু ট্রেনটি ত্রিশুর অতিক্রম করে শোরানুর পৌঁছে যায় এবং তারপর এটিকে থামিয়ে চেক করা হয়। এতে পরিকল্পনায় কিছুটা বদল আনতে হয় জয়সিং-এর। ত্রিশুর থেকে একটি অটো নিয়ে শোরানুরে পৌঁছে যান তিনি। সেখানে ট্রেনে উঠতে গিয়েই আধিকারিকদের সন্দেহ হয়। তাঁকে আটকানো হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গোটা ঘটনা তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত। পরে গ্রেফতার করা হয় জয়সিং রাথারকে।
যদিও তিনি প্রাথমিকভাবে বলেছিলেন যে তার এক আত্মীয় কল করেছিল, এতে তাঁর কোনও যোগ নেই। কিন্তু তল্লাশির সময় তার লাগেজে একটি ফোন পাওয়া গেছে যেখান থেকে তিনি এই হুমকি দিয়েছেন বলে প্রমাণ মিলেছে। ফলে এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।