চোখের সামনে ছটফট করতে করতে পুড়ে গেলেন পাইলট, মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় মৃত অন্তত ২৭

  • বসতবাড়ির উপর ভেঙে পড়ল যাত্রীবাহী বিমান
  • কঙ্গোর এই দুর্ঘটনায় অন্তত ২৭ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
  • বিমানে ১৭ জন যাত্রী ও ২ জন ক্রু সদস্য ছিল
  • ফের একবার কঙ্গোর উড়ান সংস্থাগুলির যাত্রী সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে

 

amartya lahiri | Published : Nov 25, 2019 8:35 AM IST / Updated: Nov 25 2019, 02:07 PM IST

কঙ্গোয় উড়ানের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বসত এলাকায় ভেঙে পড়ল একটি ১৯ আসনের ছোট বিমান। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৭ জনের। উত্তর কিভু প্রদেশের গোমা শহরে, যে বাড়িটির উপর বিমানটি ভেঙে পড়ে, সেই বাড়িতে একই পরিবারের ৯ জনের মৃত্য়ু হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার। বিমানটি গোমা থেকে ১৭ জন যাত্রী ও ২ জন ক্রু সদস্য নিয়ে বেনাই-এ যাচ্ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গোমা বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরুর মিনিট পরই বিমানের ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। বিমানটি আকাশে চক্কর খাচ্ছিল। এরপরই সোজা নেমে আসে নিচে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিমানটি ভেঙে পড়ার পরই তাঁরা ছুটে গিয়েছিলেন দুর্ঘটনাস্থলে। বিমানটির পাইলট তখনও বেঁচে ছিল। তিনি ওই এলাকাতেই থাকেন। সেই সময় তিনি সাহায্যের জন্য কাতর আবেদন করছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখা তাঁকে ঘিরে ফেলেছে। তাই স্থানীয়রা চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি।  

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বিমানটি ছাড়ার পরই তার ইঞ্জিনে সমস্যা দেওখা দিয়েছিল। তবে প্রকৃত কারণ এখনও অজানা। যে বাড়িটির উপর বিমানটি ভেঙে পড়েছিল তাতে কতজন লোক ছিলেন, তার সঠিক সংখ্যাটাও কেউ নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি।

দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি ছিল 'বিজি বি' নামে যে বেসরকারি উড়ান সংস্থা 'বিজি বি'-এর। দুর্ঘটনা নিয়ে তাঁরা এখনও কিছু জানায়নি। তবে কঙ্গোর বিমান সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই উড়ান সংক্রান্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা না গ্রহণ করা, বিমানগুলির দেখভাল না করার অভিয়োগ রয়েছে। বিমান দুর্ঘটনাও আফ্রিকার এই দেশে প্রায়ই ঘটে থাকে। এমনকী ইউরোপিয়ান ইউনি.য়নের দেশগুলি তাদের আকাশে কঙ্গোর কোনও বেসরকারি সংস্থার বিমান উড়তে দেয় না।   

 

Share this article
click me!