মন্দির চত্বরে রবার ও চামড়ার তৈরি জুতো পরা যাবে না। কিন্তু, পাটের তৈরি জুতো পরতে কোনও সমস্যা নেই। সেই কারণেই মন্দিরের পুরোহিত, সেবাইত, সাফাই কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য ১০০জোড়া পাটের জুতো উপহার দিলেন তিনি।
একেই কনকনে ঠান্ডা। আর তার মধ্যে মন্দির চত্বরে পরা যাবে চামড়া বা রবারের (Leather or Rubber) জুতো। অগত্যা কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Vishwanath Dham) চত্বরে যতক্ষণ থাকতে হয় ততক্ষণ থাকতে হয় খালি পায়েই। আর এই পরিস্থিতির মধ্যে সারাক্ষণ থাকার ফলে অনেক কষ্টও হয় পুরোহিত (Priests) থেকে শুরু করে সাফাই ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের (Seva, Security Guards, Sanitation Workers)। তাঁদের কষ্ট দেখতে পারছিলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। আর সেই কারণেই এবার তাঁদের কথা মাথায় রেখে এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মন্দির চত্বরে রবার ও চামড়ার তৈরি জুতো পরা যাবে না। কিন্তু, পাটের তৈরি জুতো পরতে কোনও সমস্যা নেই। সেই কারণেই মন্দিরের পুরোহিত, সেবাইত, সাফাই কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য ১০০জোড়া পাটের জুতো (100 pairs of Jute Footwear) উপহার দিলেন তিনি। এর ফলে তাঁদের আর কনকনে ঠান্ডার মধ্যে মন্দির চত্বরে খালি পায়ে (Bare-Footed) হাঁটতে হবে না। কোনও সমস্যাও হবে না তাঁদের। মন্দির চত্বরে অনায়াসেই তা পরে থাকতে পারবেন তাঁরা।
ইতিমধ্যেই সেই ১০০ জোড়া জুতো তুলে দেওয়া হয়েছে সবার হাতে। আর সেই জুতো পেয়ে বেজাই খুশি মন্দিরের পুরোহিত থেকে শুরু করে সেবাইত, সাফাই কর্মী ও নিরাপত্তা কর্মীরা। সবার জন্যই বিভিন্ন প্রকারের জুতো তৈরি করা হয়েছে। এক একটি জুতো দেখতে এক এক ধরনের। আসলে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে যুক্ত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই মন্দিরের জন্য সব সময় কিছু না কিছু করে থাকেন তিনি। তার সঙ্গে অসহায় মানুষের কথা সব সময় ভাবায় তাঁকে। মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত সব মানুষের এই কষ্ট অনেক দিন ধরেই তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছিল। আর সেই কারণেই তাঁদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এবার এই সিদ্ধান্ত নিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই সিদ্ধান্তে খুবই খুশি মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত সবাই।
আরও পড়ুন- শহর থেকে গ্রাম, কোভিড ১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য পরিষেবায় জোর মোদীর
কয়েকদিন আগে এই মন্দিরকে আরও একটি উপহার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কাশী বিশ্বনাথ করিডোর প্রকল্পের (Kashi Vishwanath Corridor) ফেজ ওয়ানের উদ্বোধন করেন তিনি। এই করিডোরের সাহায্যে খুব সহজেই বিশ্বনাথ মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন প্রবীণরা। আর এই করিডোর দিয়ে সোজা কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে ঢুকে পড়তে পারবেন সমস্ত ভক্ত। ফেজ ওয়ানের প্রকল্পের প্রথম ধাপে ৩৩৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। করিডোর পাশাপাশি মন্দির কমপ্লেক্স ও মন্দির সংলগ্ন আরও নতুন ২৩টি ভবনেরও উদ্বোধন করেছেন তিনি। একেবারে নতুন রূপে সাজিয়ে তুলেছেন মন্দিরকে। আর এবার সেই মন্দিরের সবার কথা মাথায় রেখে পাটের জুতো উপহার দিলেন তিনি।