গুজরাটে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ডিসেম্বরে বিধানসভা নির্বাচন মোদীর রাজ্য। আর সেই উপলক্ষ্যে তাঁর একগুচ্ছ জনসভা করার কথা রয়েছে।
গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগেই নতুন স্লোগান তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'এই গুজরাট আমি বানিয়েছি'। জনসভার মধ্যেই তিনি উপস্থিত জনতাকেও একাধিকবার এই স্লোগান বলান। মোদী এদিন বলেন, 'প্রতিটি গুজরাটি আত্মবিশ্বাসে পূর্ণ, তাই তারা গুজরাটিতে কথা বলে। তাদের অন্তরের আত্মার কণ্ঠশ্বর এর। প্রতিটি শব্দই গুজরাটের হৃদয় থেকে বার হয়। তাই এই গুজরাট আমি তৈরি করেছি। ' তিনি কাপরাড়য় একটি জনসভায় উপস্থিত ছিবেন।
মোটকথা এদিন প্রধানমন্ত্রী গুজরাটিতে জ্যাতাভিমান উস্কে দেন। গুজরাটিতেই তিনি ভাষণ দেন। প্রায় ২৫ মিনিটের লম্বা বক্তৃতায় একাধিকবার আমি গুজরাট বানিয়েছে এই স্লোগান তোলেন তিনি।
এদিনের ভাষণে মোদী অবশ্য কংগ্রেসের নাম উচ্চারণ করেননি। কিন্তু নাম করেই তিনি কংগ্রেসকে নিশানা করেন। বলেন কংগ্রেস এই রাজ্যের মানহানি করেছে। তিনি নাম না করে কংগ্রসকে গুজরাটের বিভাজনকারী শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে বলেছেন ২০ বছর এরা সক্রিয় ছিল এবার এদের বিনাশ করতে হবে।
কপরাদা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নির্বাচনী প্রচার শুরু করেনয়। এটি ভালসাদ জেলায় অবস্থিত। এই এলাকায় মূলত তফসিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত। এদিন প্রধানমন্ত্রী আদিবাসীদের গুরুত্বের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন মোদী সরকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর এটাই ছিল মোদীর প্রথম নিজের রাজ্য সফর। এদিনই তিনি ভাবনগরের পাপা নি পারি লগনোৎসব ২০২২ এর একটি গণবিবাহ অনুষ্ঠানেও যোগ দেন। এই অনুষ্ঠানে বাবা নেই এমন ৫২২ জন মেয়ের বিয়ে দেওয়া হবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী রাজকোট জেলার জামকন্দর্নায় একটি জনসভা করেন। সেখানে তিনি রোডশোও করেন। দুই দফায় অনুষ্ঠিত হবে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন। ১ ও ৫ ডিসেম্বর। ভোট গণনা হবে ৮ ডিসেম্বর হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে। ১৮২ আসনের গুজরাট বিধানসভায় গত নির্বাচনেও একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে রয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দখলে ১১১টি আসন। বিরোধীদের দখলে রয়েছে মাত্র ৬৭টি আসন। যারমধ্যে কংগ্রেসের দখলে ৬৫ বিধায়ক রয়েছে। এনসিপি ও আইএনডি-র ১টি করে আসন রয়েছে। আর বিটিপির দখলে রয়েছে ২টি আসন। বিধানসভায় খালি রয়েছে ২টি আসন।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত গুজরাট বিধানসভায় এবার তৃতীয় শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে অরবিন্দ কেরজিওয়ালের আম আদমি পার্টি। পঞ্জাবে সরকার গঠনের পর এবার কেজরিওয়াল যদি মোদীর রাজ্যে বড় সাফল্য পান তাহলে তা তাঁর দলের পক্ষে রীতিমত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। অন্যদিকে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন এখন বিজেপির কাছে রীতিমত চ্যালেঞ্জের। কারণ গুজরাটে এখনও বিজেপির মুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী ম্যাজিক অক্ষত রয়েছে কিনা তা ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে আরও একবার পরীক্ষা করে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে বিজেপি। তবে গত নির্বাচনের পরে এই রাজ্যে কংগ্রেসের অবস্থা তেমন ভাল নয় বলেও রাজনৈতিক নেতাদের অভিমত। কারণ এই রাজ্যে এখনও কংগ্রেস কোনও মুখ তৈরি করতে পারেনি। তারপর হার্দিক প্যাটেলের দল বদলও কংগ্রেসের কাছে একটি ধাক্কা। কারণ প্যাটেল ভোট কংগ্রেসের সঙ্গে থাকবে না বলেও মনে করছে রাজ্যের একাংশের মানুষ। তাই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান এই রাজ্যে আপ কার ভোট কাটবে তাও ওপরে অনেকটাই নির্ভর করছে ২০২৪ সালের ফলাফল।
আরও পডুনঃ
তিরুপতির ঠিক কত কোটি টাকা-সোনা আর সম্পত্তি রয়েছে, তারই বিস্তারিত হিসেব দিল মন্দির কর্তৃপক্ষ
রক্তে লাল ১৫ বছরের কিশোরের হাত! ক্রাইম পেট্রোল দেখেই পরিবারের চার সদস্যকে খুন বলে অনুমান পুলিশের
অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে 'ফেকরিওয়াল' বলে কটাক্ষ, আদমপুর উপনির্বাচন যেন বিজেপির তুরুপের তাস