সংক্ষিপ্ত

বালাজি তিরুপতি নামের সঙ্গে সঙ্গেই ভেসে ওটে পাহাড় চূড়ায় মন্দির। আর মনে পড়ে যায় মন্দিরের বিশাল ঐশ্বর্যের কথা। মন্দিরের সম্পত্তি নিয়ে অনেক মিথ থাকলেও এবার খাতায় কলমে হিসেব দিল মন্দির ট্রাস্ট।

 

বিশ্বেরর ধনী ধর্মস্থানগুলির মধ্যে একটি হল তিরুমালা তুরুপতি দেবস্থানবানস। মন্দিরের সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে নানা সময়ই নানা কথা শোনা যায়। কিন্তু শনিবার মন্দির কর্তৃপক্ষ বালাজি তিরুপতির সম্পত্তি নিয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ ঘোষণা জানিয়েছে বর্তমান ট্রাস্ট বোর্ড ২০১৯ সাল থেকে তার বিনিয়োগ নির্দেশিকাগুলিকে আরও শক্তিশালী করেছে। আর সেখানেই মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বালাজি তিরুপতির ঠিক কতটা পরিমাণ সোনা আর স্থায়ী আমানত রয়েছে।

মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বালাজি তিরুপতির ১০ টন সোনা রয়েছে। আর নগদ টাকার পরিমাণ ১৫,৯৩৮ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে এই সম্পত্তির পরিমাণ ২.২৬ কোটি টাকা।

এদিন স্ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, মন্দির কর্তপক্ষ অন্ধ্র প্রদেশ সরকারের সিকিউরিটিজ ও বন্ডগুলিতে বিনিয়োগ করছে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে সেগুলি সম্পূর্ণ মিথ্যা আর বিভ্রান্তিমূলক। ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা ব্যাঙ্কে বিনিয়োগ করছে। আর এই বিনিয়োগ দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে ৫৩০০ কোটির বেশি টাকা জাতীয় ব্যাঙ্কগুলিতে রয়েছে। নগদ রয়েছে ১৫,৯৩৮ কোটি টাকা।

মন্দির কর্তৃপক্ষের বিবৃতি অনুযায়ী সোনার আমানতের সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং সহ তফসিলি ব্যাঙ্কগুলি থেকে কোটেশন চাওয়া হয়েছিল। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুনজরে নেই এমন ব্যাঙ্কগুলি থেকে কোটেশন চাওয়া হয়নি। সোনা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রয়েছে বলেও জানান হয়েছে।

শ্রীভরি হুন্জির সমস্ত স্বর্ণ দান ১২ বছরের লিঙ্গ গোল্ট ডিপোজিটেবল মনিটাইজেশন স্কিমের অধীকে সরকারি টাঁকশালে পাঠান হয়েছিল। একটি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে সমস্ত অনুদান একই ব্যাঙ্কে জমা রা হয়। যেকোনও ব্যাঙ্কের সংগ্রহ করা পরকমণির মুদ্রাই একই ব্যাঙ্কে জমা ছিল।

মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মন্দিরের হাতে ৭৩৩৯.৭৪ টন সোনা ছিল। গত তিন বছরে ২.৯ টন সোনা দান করা হয়েছে মন্দিরকে। গোটা দেশ জুড়েই বালাজির সম্পত্তি রয়েছে বলেও মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে দেওয়া হিসেব অনুযায়ী মোট জমির পরিমাণ হল ৭,১২৩ একর। ৯৬০টি সম্পত্তি রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ

প্ল্যাস্টিকের চাল দেওয়ার অভিযোগে রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে পথে নেমে বিক্ষোভ, বিজেপি-তৃণমূলের একে অপরকে খোঁটা

অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে 'ফেকরিওয়াল' বলে কটাক্ষ, আদমপুর উপনির্বাচন যেন বিজেপির তুরুপের তাস

আজব এই দুনিয়া! নতুন যখন ছাঁটাইয়ে ব্যস্ত - টুইটারের পুরনো মালিক তখন ক্ষমা চাইলেন