সংক্ষিপ্ত
আদমপুর কেন্দ্র দিয়েই হয়তো কেজরিওয়াল হরিয়ানায় পা রাখার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু তা আর হল না। আদমপুরে হারের পরই বিজেপির নিশানায় কেজরিওয়াল। প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষা নিয়েও তাঁকে কটাক্ষ করা হয়েছে।
পঞ্জাব বিধানসভা দখলের প্রতিবেশী হরিয়ানায় ভোটের খাতা খোলার আশা করেছিল কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। সেই অনুযায়ী হরিয়ানার আদমপুর উপনির্বাচনকে টার্গেট করেছিল আপ। কিন্তু তাতে সফল হয়নি। সেখানে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল অনেকটাই পিছনে রয়েছে। কারণ আদমপুর নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হতে চলেছে।
হরিয়ানার আদমপুরে জয়ী হয়েছে বিজেপি প্রার্থী কুলদীপ বিষ্ণোর ছেলে ও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভজনলালের নাতি ভব্য বিষ্ণোই। ভব্য পারিবারিক দূর্গ অক্ষত রাখতে পেরেছেন। তিনি কংগ্রেসকে হারিয়েছেন প্রায় ১৬ হাজার ভোটে। ভব্য পেয়েছে ৬৭ হাজারের বেশি ভোট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কংগ্রেস পেয়েছে ৫১ হাজারের বেশি ভোট। সেখানে দুটি নির্বাদলের পরে রয়েছে কেজরিওয়ালের আপ। তাদের প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজারের কিছু বেশি।
আদমপুর আসনটি ১৯৬৮ সাল থেকেই ভজনলাল পরিবারের হাতে রয়েছে। এই আসন থেকে ভজন লাল ৯ বার, তাঁর স্তারী জসমা দেবী একবার , ছেলে কুলদীপ বিষ্ণোই চারবার জিতে ছিলেন। এবার সেই আসন থেকেই তাঁদের পরিবারের সদস্যই জয়ী হয়।
কিন্তু এই আসন ঘিরে কেজরিওয়াল অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন। একটি সার্ভেতে বলা হয়েছিল আদমপুর থেকে আম আদমি পার্টি ৬৮ শতাংশ ভোট পাবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। যা নিয়ে রীতিমত কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। অঙ্কুর সিং নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী আরবিন্দ কেজরিওয়ালের পুরনো টুইট তুলে ধরে কেজরিওয়ালকে 'ফেকরিওয়াল' বলে কটাক্ষ করেছেন। পাশাপাশি গুজরাট নিয়ে কেজরিওয়াল যে দাবি করেছেন গুজরাট নিয়ে যে দাবি করছেন তাও ভুয়ো বলেও জানিয়েছেন তিনি। কারণ কেজরিওয়াল গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হবে বা দ্বিতীয় স্থানে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। গুজরাটে তিনি ৮৭টিরও বেশি আসন পাবেন বলেও টুইট করেছেন। সেই টুইটগুলিকেই হাতিয়ার করে কেজরিওয়ালের নিন্দা করেছেন অঙ্কুর সিং। কেজরিওয়াল যে সার্ভে এজেন্সিকেও ভুয়ো বলেছেন।
হরিয়ানার হিসার জেলায় রয়েছে আদমপুর বিধানসভা কেন্দ্র। সেখানে ৭৬ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছিল। জয়ের পর ভব্য বিষ্ণোই জানিয়েছেন স্থানীয়দের আশীর্বাদেই তিনি জয়ী হয়েছেন। একটা সময় এই কেন্দ্র ছিল কংগ্রেসের গড়। কারণ ভজনলাল কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তারপর থেকেই এই এলাকার রঙ বদল হতে শুরু করে। এখন বিজেপির গড় বললে খুব একটা ভুল হবে না। তবে আম আদমি পার্টি এখনও সেখানে তেমন আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি।
আরও পডুনঃ
রক্তে লাল ১৫ বছরের কিশোরের হাত! ক্রাইম পেট্রোল দেখেই পরিবারের চার সদস্যকে খুন বলে অনুমান পুলিশের
কবে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে? বড় ইঙ্গিত দিলেন নির্মলা সীতারমণ