রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৭৫ টি ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিট লঞ্চ করলেন ভারতে।এই ডিজিটাল পরিষেবা ভারতবর্ষের ৭৫ টি জেলার আর্থিক লেনদেনকে এক ছাদের নিচে আনবে।
মোদির "ডিজিটাল ইন্ডিয়া" বাস্তবিক রূপ পাচ্ছে একটু একটু করে। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৭৫ টি ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিট লঞ্চ করলেন ভারতে।জানা গেছে এই ডিজিটাল পরিষেবা নাকি ভারতবর্ষের ৭৫ টি জেলার আর্থিক লেনদেনকে এক ছাদের নিচে আনবে। এবং এই ইউনিটগুলোর আউটলেট , মর্টার হবে যা কাগজহীন আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা প্রদান করবে । প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য কিছুদিন আগেই এই ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিট স্থাপনের কথা ঘোষণা করেছিলেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামান, তার বাজেট বক্তৃতায়। তারপরই এই ডিবিইউ পরিষেবা লঞ্চ নিঃসন্দেহে জনমানসে সাড়া ফেলেছে।
রবিবার ডিবিইউ লঞ্চের এই সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন ," সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ছোট শহর হোক বা গ্রাম, যেকোনো মানুষ এখন ঋণ নেওয়ার পর , ঋণের অর্থ স্থানান্তরিত করার সুযোগ পাবেন এই ইউনিটগুলোর মাধ্যমে। ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিট গড়ে তোলা নিঃসন্দেহে ডিজিটাল ইন্ডিয়া গোড়ার প্রথম সফল পদক্ষেপ। ভারতের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার আরও সহজ সরল করতে সারা দেশ এখন ঝুঁকছে ডিজিটাইলেশন এর দিকে। তাই সরকারও চলছে সেই পথেই ।
ডিবিইউ হল ইট এবং মর্টার আউটলেট যা মানুষকে বিভিন্ন ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং সুবিধা প্রদান করে। যেমন সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা, ব্যালেন্স-চেক করা , পাসবুক, প্রিন্ট করা ,ফান্ড ট্রান্সফার করা , ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগ করা , ঋণের আবেদন করা , ইস্যু করা চেকের জন্য স্টপ-পেমেন্টের নির্দেশ,দেওয়া ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডের জন্য আবেদন করা , অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট দেখে ট্যাক্সের বিল পে করা ইত্যাদি ।
প্রেস রিলিজ অনুযায়ী, ডিবিইউ-এর মূল লক্ষ্য সারা বছর ব্যাঙ্কিং পণ্য ও পরিষেবার সুবিধাজনক অ্যাক্সেস এবং উন্নত ডিজিটাল অভিজ্ঞতা জনসাধারণকে প্রদান করা। কার্যত তাদের দায়িত্ব থাকবে ডিজিটাল আর্থিক সাক্ষরতা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া এবং সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা এবং সুরক্ষার বিষয়গুলো সম্পর্কে গ্রাহকদের অবগত করা।
ব্লকচেন প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে ডিজিটাল কারেন্সি চালু করার কথাও সরকার ঘোষণা করে। এবপং এই প্রসঙ্গ উঠতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন “আগামী সময়ের ডিজিটাল কারেন্সিই হোক বা আজকের সময়ে ডিজিটাল লেনদেন, অর্থনীতি ছাড়াও আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক জড়িত ডিবিইউগুলির সাথে । ". আর ডিবিইউ গুলির মূল সুবিধা হল সঞ্চয়, খুচরো মুদ্রার ঝামেলা দূরীকরণ এবং পরিবেশগতও অনেক সুযোগ সুবিধা বর্তমানে বিদ্যমান । প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন যে মুদ্রা মুদ্রণের জন্য কাগজ এবং কালি আমদানি করা হয়, তাই ডিজিটাল অর্থনীতি গ্রহণ করে আমরা একটি স্বনির্ভর ভারতের পথে এগোচ্ছি এবং কাগজের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশকেও উপকৃত করছি।
আরও পড়ুন আবারও চিনা ড্রাগনের অশুভ চক্রান্ত! অরুণাচলে চিন সীমান্ত থেকে গায়েব দুই ভারতীয় যুবক
আরও পড়ুন ভারতে হিন্দুরাই সংখ্যায় কম? মোহন ভাগবতের পরামর্শে এবার জন্মনিয়ন্ত্রণ বিল আনতে উদ্যোগী সঙ্ঘের নেতারা