সংক্ষিপ্ত
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের বক্তব্য হল, ভারতে জন্মহার যা কমেছে, তা প্রধানত কমেছে হিন্দু সমাজে। মুসলিম সমাজে জন্মহার কমার হার হিন্দুদের তুলনায় অনেক কম।
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে শুরু হচ্ছে সঙ্ঘ পরিবারের ৪ দিন ব্যাপী কার্যসমিতির সভা। ৫ অক্টোবর, দশেরা উৎসবের দিন সরসঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত ভারতে ‘ধর্ম-ভিত্তিক ভারসাম্যহীনতা’ এবং ‘জোর করে ধর্মান্তরকরণ’-এর প্রসঙ্গ তুলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মনে যে আশঙ্কা ফের উসকে দিয়েছেন, তা সমূলে বিনাশ করার নিদান দিয়েছিলেন তিনি নিজেই। ‘সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য’ হওয়ার একটি জন্মনিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাব রেখেছিলেন ভাগবত। সেই প্রস্তাবেরই বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করতে উত্তরপ্রদেশে কার্যকমিটির বৈঠকে বসতে চলেছেন সঙ্ঘ নেতারা।
২০২২ সালে বিজয়া দশমীর দিন ধর্মভিত্তিক সামাজিক ভারসাম্য বজায় রাখা, মাতৃভাষায় শিক্ষার মতো বিষয়গুলি নিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন আর.এস.এস প্রধান মোহন ভাগবত। সেই প্রসঙ্গে সঙ্ঘ পরিবারের মুখপাত্র সুনীল অম্বেকর বলেছেন, ‘‘বিজয়া দশমীতে যে বিষয়গুলি নিয়ে সঙ্ঘ প্রধান বক্তব্য রেখেছিলেন, সেগুলি যাতে আগামী দিনে রূপায়িত করা সম্ভব হয়, তা নিয়েই বৈঠকে মূলত আলোচনা হবে।’’ পাশাপাশি ২০২৫ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের একশো বছর পূর্তি অনুষ্ঠান পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। যার প্রস্তুতি দ্রুত শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে শাখার প্রায় ৫৫ হাজার দফতর রয়েছে, যা বাড়িয়ে এক লক্ষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার ভারসাম্যের উপরে জোর দিতে গিয়ে হিন্দু নেতা জানিয়েছিলেন, ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার ভারসাম্যের অসামঞ্জস্যতা দেশের ভৌগোলিক সীমানা পরিবর্তন করে দিতে পারে। জনসংখ্যার ভারসাম্য না থাকলে টান পড়ে দেশের রসদেও। তাই জনসংখ্যা বা জন্মসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সঙ্ঘ পরিবার দীর্ঘ সময় ধরে আইনের পক্ষে সওয়াল করলেও ক’দিন আগেই কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে যে, ভারত জন্ম নিয়ন্ত্রণে ভালো ফল করায় সরকার জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনও বিল আনার কথা ভাবছে না।
এবিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করেছিল যে, ২০২৫ সালে দেশে জাতীয় গর্ভধারণের যে হার সরকার স্থির করেছিল, সেই লক্ষ্যমাত্রায় নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হবে। সরকার ওই দাবি করলেও, আগামী দিনে আইন করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার পক্ষপাতি সঙ্ঘ পরিবার। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের যুক্তি হল, জন্মহার যা কমেছে, তা মূলত কমেছে হিন্দু সমাজেই। মুসলিম সমাজে জন্মহার কমার হার হিন্দুদের তুলনায় অনেক কম। হিন্দু নেতাদের একাংশ মনে করেন, এই গতিতে চললে জনসংখ্যার বিস্ফোরণের মাধ্যমে আগামী দিনে দেশে সংখ্যাগুরু হয়ে দাঁড়াবে মুসলিমরা। সেই কারণে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন আনার পক্ষপাতী সঙ্ঘ পরিবার।
আরও পড়ুন-
দু’দিক থেকে বাস ও ট্রাকের ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে ছোট্ট হয়ে গেল টেম্পো! ভেতরে থাকা যাত্রীদের পরিণতি হল ভয়ঙ্কর
বিজেপি জেলা সভাপতির ছবি ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে তার ওপরেই প্রস্রাব! বিজেপি নেতার কাণ্ডেই হতবাক পদ্মশিবির
‘হ্যাগরিড’-হারা হগওয়র্টস! চলে গেলেন বিখ্যাত চরিত্রাভিনেতা রবি কোলট্রেন