২০ সেপ্টেম্বর সংসদে পাস হয়েছে কৃষি বিল। তারপর থেকেই এই বিলের বিরোধিতায় সরব দেশের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। কৃষি বিলের বিরোধিতায় দেশ জুড়ে চলছে বিক্ষোভ। রাস্তা, জাতীয় সড়ক, রেল সহ বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে বিরোধী দলগুলি। বিল পাস করানোর পদ্ধতি নিয়েও সরব হয়ে এককাট্টা বিরোধী দলগুলি। তৃণমূল শাসিত পশ্চিমবঙ্গও এই কৃষি বিলকে সর্বনাশা আখ্যা দিয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে। এই দেশ জুড়ে প্রবল বিক্ষোভের মধ্যে মন কি বাত অনুষ্ঠানে কৃষি বিল নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আরও পড়ুন-দল ছাড়ছেন রাহুল সিনহা,বঙ্গ বিজেপিতে জোর গুঞ্জন
রবিবার মন কি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ''করোনা আবহে আত্মনীর্ভর ভারতের প্রধান ভূমিকা নিয়েছে কৃষি ক্ষেত্র। কৃষকরা হলেন আত্মনীর্ভর ভারতের প্রধান হাতিয়ার। এবার থেকে কৃষকরা সরাসরি তাঁদের জমির ফসল বিক্রি করতে পারবেন। কোনও মধ্যস্থাকারী নয়, যাকে ইচ্ছে তাঁদের মুনাফা দেখে নিজেদের জমির ফসল বিক্রি করতে পারবেন কৃষকরা। নিজের জমির ফসল যেখানে বেশি দাম পাবেন সেখানেই ফসল বিক্রি করতে পারবেন''। মহারাষ্ট্রের উদাহরণ টেনে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ''মহারাষ্ট্র ফল ও সবজিকে এমপিসি-র আওতা থেকে বাইরে রেখেছে। এর ফলে সেখানকার কৃষকদের পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটাউই বদলে গিয়েছে। কৃষকদের নিজেদের তৈরি এক সংস্থা মুম্বই ও পুণের বাজারে সফল ভাবে কৃষিপণ্যের বাণিজ্য করছে। মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর''।
আরও পড়ুন-বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল, দায়িত্ব পেয়েই মুখ খুললেন কৃষি বিল নিয়ে
প্রধানমন্ত্রী কৃষি বিলের পক্ষে আরও বলেন, আপনারা কী জানেন এই কৃষকদের কী আছে, নিজের জমির ফসল যেখানে খুশি বিক্রি করতে পারেন। ধান, গম, সরষা, আঁখ যা কিছু কৃষকরা নিজেদের জমি থেকে উৎপাদন করছেন তা নিজেদের ইচ্ছানুসারে বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন। তাঁর তাঁদের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। এই রকম লখনউর বাজারেও একটি উদাহরণ আছে। লকডাউনের সময় কৃষকরা তাঁদের জমির ফসল নিয়ে সোজা লখনউয়ের বাজারে বিক্রি করেছিলেন। সেখানে তাঁরা তাঁদের কৃষিপণ্য়ের দাম মনের মতো পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-অনুব্রতকে 'হুমকি' দিয়ে গ্রেফতার, তৃণমূল নেতার বাড়িতে মিলল আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ
এছাড়াও, তিনি মন কি বাত অনুষ্ঠানে করোনা আবহে দেশবাসীকে পরিবারের সঙ্গে থাকার পরামর্শ দেন। বাড়ির ছোট ছোট সদস্যদের সঙ্গেও খেলাধূলা করার বার্তা দেন এবং পরিবারের সবাই মিলে গল্প, কাহিনী শোনার বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী।