দীর্ঘ ১৫ মাস পরে আগামী মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে বিদেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।সূত্রের খবর আগামী ২৬ মার্চ তিনি দুদিনের সফরে বাংলাদেশ যাবেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশতম বার্ষিকি উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকি উদযাপনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাজি হয়েছে বলেও জানা গেছে। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকেও শ্রদ্ধা জানাবেন। বাংলাদেশ সফরে তিনি দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন বলেও সূত্রের খবর। ২০১৯ সালে করোনাভাইাস জনিত মহামারির কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিদেশ সফর বাতিল করা হয়েছিল। তবে প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের ওপর নতুন দিল্লি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলেও সূত্র মারফত জানাগেছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গত সপ্তাহে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
বাটলা হাউস এনকাউন্টার মামলা, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি আরিজ খান দোষী সাব্যস্ত ...
গত বছর ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঢাকায় হাসিনা সরকার গঠনের পর দুই দেশের যৌথ উদ্যোগ ও মৈত্রীকে আরও জোরদার করার বিষয় নিয়ে কথা হয়েছিল দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। সূত্রের খবর সিএএ আর এনআরসি নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক কিছুটা অবনতি হয়। কিন্তু বর্তমানে করোনা-মহামারি মোকাবিলায় দুই দেশের সম্পর্ক শক্তিশালী আবারও শক্তিশালী হয়েছে বলেও দাবি করেছে ওয়াকিবহাল মহল। ভ্যাকসিন মৈত্রীও ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কের দূরত্ব ঘোচাতে মলমের কাজ করেছে বলেও দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট মহল। ভারত বাংলাদেশে ৯ মিলিয়ন করোনাভাইরাসের ডোজ সরবরাহ করেছে। যারমধ্যে ২ মিলিয়ন ডোজ উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল।
১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ পাকিস্তানের অধীন থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ। সেই সময়ে ভারতের কংগ্রেস সরকার সম্পূর্ণরূপে সহযোগিতা করেছিল বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবর রহমানকে। যারফল স্বরূপ এখনও ভারত ও বাংলাদেশ একঅপরের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকি উদযাপনে যৌথউদ্যোগে বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। গত ২৬ জানুয়ারি স্বাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডেও অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশের সেনা জওয়ানরা। অন্যদিকে নৌবাহিনীর সঙ্গেও বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল।