নির্বাচন কমিশন থেকে শরদ পাওয়ারকে বড় ধাক্কা, অজিত গোষ্ঠীই আসল এনসিপি

ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ১০টিরও বেশি শুনানির পরে, নির্বাচন কমিশন এনসিপিতে বিরোধ নিষ্পত্তি করে এবং অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীর পক্ষে রায় দেয়। এখন এনসিপির নাম ও নির্বাচনী প্রতীক 'ঘড়ি' থাকবে অজিত পাওয়ারের কাছে।

Parna Sengupta | Published : Feb 6, 2024 2:46 PM IST / Updated: Feb 06 2024, 08:57 PM IST

মহারাষ্ট্রের রাজনীতি নিয়ে একটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন অজিত পাওয়ারের জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস দলকে আসল এনসিপি হিসাবে ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্ত প্রবীণ রাজনীতিবিদ এবং অজিতের কাকা শরদ পাওয়ারের জন্য একটি বড় ধাক্কা। তথ্য অনুসারে, ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ১০টিরও বেশি শুনানির পরে, নির্বাচন কমিশন এনসিপিতে বিরোধ নিষ্পত্তি করে এবং অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীর পক্ষে রায় দেয়। এখন এনসিপির নাম ও নির্বাচনী প্রতীক 'ঘড়ি' থাকবে অজিত পাওয়ারের কাছে।

নির্বাচন কমিশন তার নতুন রাজনৈতিক গঠনের জন্য একটি নাম দাবি করার এবং কমিশনকে তিনটি অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য এককালীন অপশন দিয়েছে। এই ছাড়টি ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকেল ৩টে পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে।

গত বছর, মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে একটি বড় উত্থান ঘটেছিল, যখন অজিত পাওয়ার এনসিপির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন। দলে বিভক্তির পর এনসিপির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মুখোমুখি হন চাচা-ভাতিজা। অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী নির্বাচন কমিশনে হলফনামা পেশ করেছে। একই সময়ে, শরদ পাওয়ার শিবিরও নির্বাচন কমিশনে একটি সতর্কতা দাখিল করেছে যাতে দলীয় লড়াই সংক্রান্ত কোনও নির্দেশ দেওয়ার আগে তাদের কথা শোনার অনুরোধ করা হয়। এরপর নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনেছে নির্বাচন কমিশন।

২রা জুলাই, ২০২৩-এ এনসিপিতে বিভক্তি হয়েছিল। অজিত পাওয়ার তার শিবিরের বিধায়কদের সাথে এনডিএ-তে যোগ দেন এবং মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী হন। তিনি মহারাষ্ট্রের বিজেপি এবং একনাথ শিন্ডের সরকারে যোগ দেন। এনসিপি থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে, অজিত পাওয়ার এনসিপির উপর দাবি তুলেছিলেন। এরপর বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়। উভয় শিবিরই নির্বাচন কমিশনের সামনে নিজ নিজ যুক্তি উপস্থাপন করেছে। এখন নির্বাচন কমিশন আসল এনসিপি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এটাও ভারত জোটের জন্য বড় ধাক্কা। এখন দলের নতুন নাম ও প্রতীক নিয়ে ভাবতে হবে শরদ পাওয়ারকে। এর আগে মহারাষ্ট্রে শিবসেনার মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। আসল শিবসেনা হল একনাথ শিন্ডের, আর উদ্ধব ঠাকরের দলের নাম শিবসেনা (ইউবিটি)।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!