বিধবা মহিলা থেকে শুরু করে কিশোরীসহ পশ্চিমবঙ্গে একাধিক মহিলা ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের বিচার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অনেকেই। তাতেই উঠে এসেছে রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসায় গণধর্ষণের ভয়াবহ ছবি। সুপ্রিম কোর্টে বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসার জন্য SIT বা স্পেশাল তদন্তকারী দলের তদন্ত চেয়ে আবেদনের শুনানি হয়। সেই মামলার শুনানিতেই আক্রান্তরা রাজ্যের ক্ষমতাসীন শাসক দল অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। পাশাপাশি আক্রান্তদের তরফে আবেদন জানান হয়েছে সংশ্লিষ্ট মামলাগুলি আদালতের তত্ত্বাবধানে সিবিআই অথবা এসটিএফ তদন্ত করুক।
গত ১৮ মে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার দুই বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর তদন্তের ঘটনা সিবিআইএর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে নোটিশ পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার প্রায় এক মাস পর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের হাতে আক্রান্ত ও ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এই মহিলারা। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। রাজ্যে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলে এসআইটিএর তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টে তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। আবেদনকারীদের এক জন ৬০ বছর বয়স্ক মহিলা। আবেদন তিনি তাঁর ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন তাঁর বয়স ৬০। নাতির সামনেই তাঁরে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। মারধর করা হয়েছিল তাঁর পুত্রবধূকে। বিধানসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের একদিন পরেই তাঁর ওপর ভয়ঙ্কর নির্যাতন চালান হয়। প্রায় ১০০-২০০ জন তাঁদের বাড়ি ঘিরে রেখেছিল। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরাও ছিল। আবেদনকারী জানিয়েছেন তাঁকে শুধু গণধর্ষণ করেই খান্ত থাকেননি দুষ্কৃতীরা। তাঁকে বিষ খাওয়ানো হয়েছিল। মহিলার আবেদনে বলেছেন তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেস করেন না। অন্য রাজনৈতিক দলের সমর্থক। সেই কারণেই তাঁদের পরিবারকে এমন নারকীয় ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। পুলিশও প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল।
অপর এক মহিলা আবেদনে জানিয়েছেন তাঁর স্বামী বিজেপির সমর্থক। গত ১৪ মে তাঁর সামনেই তাঁর স্বামীকে কুড়ুল দিয়ে কোপানো হয়েছিল। তাঁর পর তাঁকেও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয়দের তৎপরতায় তিনি রক্ষাপান।
প্রয়াত বিশ্বের সর্ববৃহৎ পরিবারের প্রধান, ৩৯ স্ত্রী আর ৯৪ সন্তান রেখে পরলোকে জিয়ানা চানা ...
তফশিলী জাতির এক ১৭ বছর বয়সীর কিশোরী সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিলেন যে তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল তারপর একটা দিন তাঁকে জঙ্গলে ফেলে রাখে তাঁর মৃত্যুর জন্য ফেলে রাখা হয়েছিল। তারপর স্থানীয় তৃণমূল নেতারা তাঁর বাড়িতে হয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল। পাশাপাশি পুলিশের দ্বারস্থ হতে নিষেধও করা হয়েছিল। তাঁর বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। একই অভিযোগ জানিয়েছেন ১৯ বছরের এক তরুণী।
জিতিন প্রসাদের পর কী শচীন পাইলট, দিল্লি সফর নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে জল্পনা তুঙ্গে ..
আক্রান্তদের দাবি রাজ্য পুলিশ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি নিরপেক্ষ তদন্ত চানালোর পরিবর্তে শক্তিশালী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের রক্ষার চেষ্টা করেছে। আক্রান্তদের প্রতি স্থানীয় প্রশাসনের কোনও সহানুভূতিও নেই। তাঁদের দাবি পুলিশ এই জঘন্য ঘটনাগুলিকে ছোট আর বিক্ষিপ্ত ঘটনা হিসেবে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক সংঘর্ষের সময় খুন হওয়া বিজেপি কর্মীদের পরিবারের অভিযোগ যৌন হিংসার শিকার হওয়া অভিযুক্তদের সমস্ত আবেদন রাজ্যে চলমান পিআইএল এ দায়ের করা হয়েছিল। আবেদনে তাদের মামলার তদন্তকে একটি বিশেষ তদন্তকারী দলের অধীনে স্থানান্তরিত করা আর অন্য রাজ্যে বিচার প্রক্রিয়া চালানোর আবেদন করা হয়েছিল।