পিপিই-র দাম দেখেই চক্ষু চড়কগাছে, হাসপাতালের বিল মেটাতে ঋণ করতে হল করোনা আক্রান্তকে

পিপিই-র জন্য লক্ষা টাকার বেশি দিতে হচ্ছে রোগীদের
হাসপাতালের বিল নিয়ে বিপাকে রোগীর পরিবার়
বিলের প্রায় ৫০ শতাংশই কিটের জন্য বরাদ্দ করা হচ্ছে 
বিমা কোম্পানিগুলি পিপিই-র টাকা দিচ্ছে না 

সুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালের বিল দেখে অসুস্থ হওয়ার জোগাড়। কারণ হাসপাতালের বিলে পিপিই কিট, মাস্ক, গ্লাভস আর ফেস শিল্ড-এর জন্য ধার্য করা হয়েছে ১লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। আর এই টাকা পাওয়ার কোনও উপায় নেই স্বাস্থ্য বিমা থেকে। তাই সুস্থ হয়েও অসুস্থ হয়ে পড়ার মত অবস্থা হতে হয়েছিল মুম্বইয়ের এক করোনা আক্রান্ত রোগীর। তিনি জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিমা থাকায় বাকি খরচ সেখান থেকেই মেটানো হয়েছে। কিন্তু পিপিই কিটসহ বাকি সরঞ্জামের জন্য বিল মেটাতে চড়া সুদে টাকা ধার করতে হাসপাতালের পাওনা চুকিয়ে তবেই রেহাই পেয়েছেন তিনি। এই ছবি শুধু মুম্বইয় নয়। দেশের প্রায় সর্বত্র। অভিযোগ বেসরকারি হাসপাতালগুলি পিপিই কিটের জন্য প্রচুর পরিমাণে টাকা চাইছে। 

একটি সূত্র বলছে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে বিলের প্রায় ৫০ শতাংশই বরাদ্দা করা হচ্ছে  পিপিই কিট, ফেস সিল্ড গ্লাভসের জন্য। কিন্তু যে সামগ্রী নষ্ট করে দেওয়া হয় তার সেই সামগ্রীর মাত্র ১০ শতাংশ খরচ দেয় স্বাস্থ্য বিমা কোম্পানিগুলি। তাই বিলের টাকার অঙ্ক বেশি হওয়ায় রীতিমত নাভিশ্বাস উঠেছে করোনা আক্রান্ত রোগীদের।

Latest Videos

 

দিল্লির সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা করোনা আক্রান্ত রোগী জানিয়েছেন ৯ দিন হাসপাতালে ছিলেন।  তাঁর বিল হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। প্রথম দুদিনের বিল ছিল ৪৩০০টাকা। পরের সাত দিন বিলের অঙ্ক ছিল ৮৯০০ টাকা। বাকি টাকা পিপিই কিটসহ বাকি সরঞ্জামের জন্য দিতে হয়েছে। 

মাস্কের ভুল ব্যবহারে করোনা বিপদ বাড়তে পারে, যে সাধারণ ভুলগুলি হয়ে থাকে শুধরেনিন ...

গোষ্ঠী সংক্রমণ উড়িয়ে দিল কেন্দ্র, বলল করোনা মহামারী তৃতীয় পর্যায় পৌঁছায়নি ভারতে ...

করোনা হটস্পটের ৩০ শতাংশ মানুষই সংক্রমিত, অজান্তেই নাকি সুস্থ হচ্ছেন আক্রান্তরা ...
চেন্নাইয়ের একটি বেসরকার হাসপাতাল পিপিই কিটের জন্য চার্জ করছে ৩৩ হাজার টাকা। করোনা মহামারীর এই সময় প্রচুর মানুষ স্বাস্থ্য বিমা করাচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু তাতে তেমন কোনও সুবিধে হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। কারণ পিপিইকিট সহ বাকি সরঞ্জামের জন্য প্রচুর টাকা আক্রান্তদের নিজেদের পকেট থেকেই দিতে হচ্ছে। 

রেহাই পাননি এক চিকিৎসক। তাঁর মুম্বইয়ের চিকিৎসক সীমা জানিয়েছেন, তাঁর কাকা করোনা আক্রান্ত। তাঁকে নিয়ে অনেক ছোটাছুটির পর একটি বেসরকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালের বিল রীতিমত অস্বস্তিতে ফেলেদিয়েছে তাঁদের। কারণ ২৫ দিন চিকিৎসার জন্য তাঁদের ১৬ লক্ষ টাকার একটি বিল ধরানো হয়েছিল। যেখানে পিপিইসহ বাকি সরঞ্জামের জন্যই ধার্য করা হয়েছে ৪ লক্ষ টাকা। দেশের চরম এই সংকটের সময় হাসপাতালগুলি টাকা রোজগারে ব্যস্ত বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। 


একটি সূত্রের খবর পিপিই কিট, গ্লাভস আর মাস্কের জন্য অধিকাংশ হাসপাতালেরই গড় ব্যায় ১০ হাজার টাকার কমবেশি। এই তথ্য সহমত পোষণ করেছে এফআইসিসিসআই।  তবে এই সংস্থা আরও জানিয়েছে কিটের খরচ একএকটি হাসপাতালে একেকরকম। কোনও করোনা আক্রান্ত রোগীর যখন আইসিইউতে চিকিৎসা হয় তখন তারজন্য প্রতিদিন চারটি পর্যন্ত এই কিট বরাদ্দ রাখা হয়। তবে বেসরকারি হাসপাতগুলির একটি অংশ আবার দায়ি করেছে বিমা সংস্থাগুলিরকে। বিমা সংস্থাগুলি ভোগ্যপণ্যের জন্য পুরো  টাকা দেয়না। ১০ শতাংশ এই টাকা আক্রান্তকে প্রদান করতে হয়। করোনা সংক্রমণের এই সময় পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। এখন ভোগ্যপণ্যের পরিমাণ ৫০ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। যা আক্রান্ত বা তাঁর পরিবারের কাছে মেটানো খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

Share this article
click me!

Latest Videos

‘প্রণামের সংস্কৃতি ভুলে যাচ্ছে বাঙালি’ বিস্ফোরক মন্তব্য Dilip Ghosh-এর, দেখুন কী বলছেন | Dilip Ghosh
পুলিশের তৎপরতায় বানচাল ডাকাতির প্ল্যান! গ্রেফতার ২ অপরাধী, চাঞ্চল্য Birbhum-এ
'কুমিল্লা ছেড়ে চলে যা' কুমিল্লায় বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতোর মালা! | Bangladesh News |
'যেসব মুসলমানরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তাঁদেরই পূর্বপুরুষেরা হিন্দু ছিল' বিস্ফোরক অর্জুন
চমকে উঠবেন! কৃষ্ণনগর পক্সো আদালতের বড় সাজা ঘোষণা | Nadia Latest News