পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন 'শিসগ্রামে', সেরা পর্যটন গ্রামের জন্য মনোনীত মেঘালয়ের পাহাড়ী গ্রামটি

Published : Sep 14, 2021, 09:37 PM IST
পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন 'শিসগ্রামে', সেরা পর্যটন গ্রামের জন্য মনোনীত মেঘালয়ের পাহাড়ী গ্রামটি

সংক্ষিপ্ত

গ্রামের বাসিন্দারা নাম ধরে ডাকেন না কাউকে। প্রত্যেকের জন্য একটি নির্দিষ্ট শিশ রয়েছে। মেঘালয়ের কংথং গ্রামের বৈশিষ্ট এটাই। 

পুজোর সময় কোথায়া যাবেন তাই ভাবছেন। করোনাকালে গত দেড় বছর প্রায় গৃহবন্দি হয়ে কাটিয়েছেন। তাই এবার বেড়িয়ে পড়তে মন চাইছে? খুব বেশি চিন্তা না করে মেঘায়ল যাওয়ার তোড়জোড় করুন। এমনিতেই মেঘেরা রাজ্য। তারওপর এমন একটা গ্রামের সন্ধান আপনাকে দিচ্ছি যেখানে গেলে গ্যারান্টি দিতে পারি আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। কারণ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী দিনে মেঘায়লের কংথং গ্রাম জিতে নিতে পারে বেস্ট ট্যুরিজিম ভিলেজস পুরষ্কার। কারণ দ্যা ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশনের এই প্রতিযোগিতার আরও দুটি গ্রামের সঙ্গে মেঘালয়ের এই গ্রামও মনোনীত হয়েছে। তবে এই গ্রামের আরও একটি পরিচয় রয়েছে। গ্রামটিকে শিশ গ্রামও বলা যেতে পারে। 

কংথং গ্রামটি পূর্ব খাসি পাহাড় জেলায় অবস্থিত। এটি মেঘালয়ের রাজধানী থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরে।তবে এই গ্রামের অন্য একটি বৈশিষ্ট রয়েছে। সেটি হল এই গ্রামের বাসিন্দারা কারও নাম ধরে ডাকেন না। তাঁরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেন শিশ। সেই জন্য এই গ্রাম শিস গ্রাম বা হুইসলিম গ্রাম হিসেবেই পরিচিত। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রত্যেককে ডাকার জন্য একটি নির্দিষ্ট সুর বা শিস দিয়ে থাকেন। এই প্রথা বহু পুরনো। গ্রামবাসীরা এই সুরকে জিঙ্গরওয়াই লববেই বলেন। যার অর্থ মায়ের আশীর্বাদ। মায়েরাই তাঁদের সন্তানদের জন্য আলাদা আলাদা সুর তৈরি করেন। 

মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাজ সংমা টুই করে জানিয়েছেন আরও দুটি গ্রামের সঙ্গে কংথং গ্রামও সেরা পর্যটন গ্রামের লড়াইয়ে মনোনীত হয়েছে। ২০১৯ সালে বিহারের রাজ্যসভার সাংসদ রাকেশ সিনহা গ্রামটি দত্তক নিয়েছিলেন।গ্রামের জন্য উইনেস্কো ট্যাগের পরামর্শও দিয়েছিলেন তিনি। 

 

Fact Check: সত্যি কি এই নন্দী মূর্তিটি পাওয়া গেছে মসজিদের নিচে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল শিবের বাহনের ছবি

কংগ্রেস ছেড়ে আসা সুম্মিতা দেবকে বড় দায়িত্ব, রাজ্যসভায় মানসের ছেড়ে যাওয়া আসনে তৃণমূল প্রার্থী

পাহাড়ে না চড়েই হিমালয়ের ৮টি শৃঙ্গ ভ্রমণের সুবর্ণ সুযোগ , এই সফরে রেকর্ড বুকে নাম তোলার হাতছানি

প্রশ্ন কী করে যাবেন এই শিশ গ্রামে? 
মেঘালয়ার রাজধানী শিলং থেকে কংথং গ্রামে যেতে সময় লাগে মাত্র ২ ঘণ্টা। দূরত্ব ৫৩ কিলোমিটারের একটু বেশি। কলকাতা থেকে সড়কপথে বিমানে করে আপনি শিলং যেতে পারেন। চাইলে ট্রেনে করে অসম হয়ে শিলং পৌঁছাতে পারেন। এখানে বেশ কয়েকটি হোটেল রয়েছে। চাইলে হোম স্টেরও ব্যবস্থা রয়েছে। এই গ্রামে মাত্র ৭০০ জন বাসিন্দা। রয়েছে একটি স্কুলও। 

 

PREV
click me!

Recommended Stories

8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে সরকার জানাল সাফ কথা! ২.৮৬ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে বেতন?
যোগী সরকারের উত্তরপ্রদেশ ডিজিটাল পাওয়ারহাউস: স্টার্টআপ, আইটিতে রেকর্ড বৃদ্ধি