সংক্ষিপ্ত
একটি প্রাচীন নন্দীর মূর্তি নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। অনেক নেটিজেনই দাবি করেছেন এটি মসজিদের নিচে চাপা পড়েছিল। জেনে নিন সত্যিটা কী?
পুরাণ অনুযায়ী নন্দী হিন্দুদেবতা শিবের বাহন হিসেবেই পরিচিত। বর্তমানে তারই একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই দাবি করছেন একটি মসজিদে খনন কার্যের সময় উদ্ধার করা হয়েছে এই পুরাকীর্তিটি।
মূলত টুইটারে ভাইরাল হয়েছে এই ছবিটি। সেখানে হিন্দিতে ক্যাপশন দেওয়া হয়েছে. 'সব মসজিদেই এই সত্য চাপা পড়ে রয়েছে।' শুধু টুইটার নয় ফেসবুকেও শেয়ার করা হয়েছে এজাতীয় তথ্য।
কিন্তু আসল সত্যিটা কী?
ছবি গুলি ধরে তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা গেছে এটি প্রথম সোশ্যাল মিডিয়ায় (টুইটার) পোস্ট করা হয়েছিল চলতি বছর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই। ক্যাপশনে লেখা হয়েছিল 'সত্যি কিছু দিনের জন্য চাপা দেওয়া যায়, কিন্তু চিরকালের জন্য যায় না।' লস্ট টেম্পল নামে এক এক টুইটার ব্যবহারকারী এটি পোস্ট করেছিলেন। সেখানেই তিনি লেখেছেন নমাক্কল জেলার মোহনুর সেলন্দিয়াম্নান মন্দিরে খননের সময় একটি বড় মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। মূর্তিটি নন্দির মূর্তি বলেও তিনি জানিয়েছিলেন।
আসল সত্যঃ
তথ্য অনুসন্ধান করে জানা গেছে নমাক্কাল তামিলনাড়ুতে অবস্থিত। সেই খননকার্য সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্যও পাওয়া গেছে। সেখনে বলা হয়েছে মন্দিরের চারপাসে শ্রমিকরা খনন করছিলেন। সেই সময়ই একটি পুরনো নন্দীর মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। মন্দিরের কর্মকর্তারা রাজস্ব বিভাগকে জানানোর পরই তারা মন্দিরে এসে মূর্তিটি উদ্ধার করে। প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের সালিম মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ মূর্তিটি পরীক্ষা করছে। তালিম সংবাদ পত্রের পাশাপাশি তামিল চ্যালেনও নন্দী মূর্তি উদ্ধার নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
পাহাড়ে না চড়েই হিমালয়ের ৮টি শৃঙ্গ ভ্রমণের সুবর্ণ সুযোগ , এই সফরে রেকর্ড বুকে নাম তোলার হাতছানি
Afghan Crisis: তালিবান রাজত্বে চরম আর্থিক সংকট, ঘটিবাটি বিক্রি করে দেশ ছাড়তে মরিয়া আফগানরা
Weather Update: বুধবারে দুপুরের আগে কাটছে না দুর্যোগ, জোয়ারের কারণে কলকাতায় বন্ধ গঙ্গার লকগেট
স্পষ্ট তথ্যঃ
তাতেই স্পষ্ট হয়েছে সম্প্রতি উদ্ধার হওয়া নন্দীমূর্তিটি নিয়ে ভুল খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হয়েছিল নন্দীর মূর্তিটি মসজিদের নিচে চাপা পড়েছিল। কিন্তু এটি পুরোপুরি সত্য নয়। নন্দীর মূর্তিটি একটি মন্দিরে পাশে চাপা পড়ে ছিল। এটাই প্রথম নয়, এর আগে মসদিজ ভাঙার সময় জৈন মন্দির আবিষ্কার হওয়ার নামে গোয়ালিয়র দুর্গের ছবি শেয়ার করা হয়েছিল।