সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিল কপিল সিবাল। তিনি সেই ২৩ জনের নেতার এক জন যাঁরা সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে কংগ্রেসের নেতৃত্বের বিষয় জানতে চেয়েছিলেন। বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'আমাদের দলে কোনও সভাপতি নেই।
দলে কোনও সভাপতি নেই। কে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কেউ জানে না। বিধানসভা ভোটের আগে পঞ্জাবে কংগ্রেসের সংকট (Punjab Congress Crisi) নিয়ে রীতিমত সুর চড়ালেন কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল (Kapil Sibal)। এবারও তাঁর নিশানায় কংগ্রেসের (Congress) শীর্ষ নেতৃত্ব। সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকেই নিশানা করেন তিনি। বুধবার আরও একবার সিবাল, দলের সভাপতি নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিল কপিল সিবাল। তিনি সেই ২৩ জনের নেতার এক জন যাঁরা সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে কংগ্রেসের নেতৃত্বের বিষয় জানতে চেয়েছিলেন। বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'আমাদের দলে কোনও সভাপতি নেই। তাই আমরা জানি না কে কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমরা দলের সদস্য হয়েও দলের সব ব্যাপারেই আমাদের কাছে অস্পষ্ট।' এদিন আরও বলেন এখনও কংগ্রেস দলটিকে তিনি শ্রদ্ধা করেন। দলটির একটি অতীত গৌরব রয়েছে। দলটি একটা সময় দেশের স্বার্থে কাজ করেছিল। তাই কংগ্রেস আরও অক্সিজেন পাবে এই আশা একটি ভগ্ন হৃদয় নিয়ে তাঁরা দাঁড়িয়ে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। তবে তিনি আরও কংগ্রেসের হাল ধরার জন্য কাউকে এগিয়ে আসতে দেখতে পাচ্ছেন না বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
Afghan Crisis: কাবুলের সঙ্গে বিমান পরিষেবা শুরু করুক, আবেদন জানিয়ে তালিবান মন্ত্রীর চিঠি ভারতকে
TMC: গোয়াতে উড়ছে ঘাসফুলের পতাকা, কলকাতায় এসে মমতার হাত ধরে তৃণমূলে যোগ ফালেইরোর
চিনের থেকে সাবধান, গোটা বিশ্বেই ঋণের ফাঁদ পেতে রেখেছে বেজিং
পঞ্জাব সম্পর্কেও শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন গত ১০ দিন ধরেই পঞ্জাবে সংকট চলছে। প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির পদ থেকে সিধুর ইস্তফা নতুন করে সংকট বাড়িয়েছে। সিধু ঘোষণা অনুযায়ী তাঁকে নিয়োগ করেছে শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু এখন কোনও নেতাই সেই দায়িত্ব নিতে এগিয়ে আসেননি। দলের বর্তমান অবস্থার জন্য একজন প্রেসিডেন্টের প্রয়োজন খুব বেশি।
কপিল সিবার কিছুটা কটক্ষ করেই করে বলেছেন জি -২৩ নেতাদের মধ্যে এমন কোনও নেতা এখনও নেই যারা কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিয়েছে। কিন্তু এটা লক্ষণীয় যে যারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে ছিল তারাই দল বদল করে অন্য দলে নাম লেখাচ্ছে। এদিন তিনি দলবদলু নেতাদেরও কংগ্রেসে ফিরে এসে দলের হাল ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে সিধুর ইস্তফা নিয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। শুধু বলেছেন সীমান্তবর্তী রাজ্য নিয়ে গোটা দেশেই উদ্বেগ বাড়ছে। অন্যদিকে আগামী বছরই পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচব। কিন্তু তার আগে রীতিমত সংকটে কংগ্রেস। তাই ভোট যুদ্ধে জয় নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।