দেখা করুন পৃথিবীর "শ্রেষ্ঠ মা" এর সঙ্গে, তিনি হলেন পুনের বাসিন্দা আদিত্য তিওয়ারি

  • নারী দিবসের চমক পুনের আদিত্য তিওয়ারি
  • পুনের একজন বাবা পেলেন শ্রেষ্ঠ মায়ের সম্মান
  • একাই মানুষ করতে চান দত্তক নেওয়া ছেলেকে
  • তাঁর দত্তক সন্তান বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন

Asianet News Bangla | Published : Mar 8, 2020 8:25 AM IST

ভারত ছাড়িয়ে বিশ্বের সবকটি দেশ উজ্জাপন করছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। পূর্ব ঘোষণা মত রীতিমত চমক দিয়ে এই দিনেই প্রধানমন্ত্রী সাত কৃতী নারীর হাতে তুলে দিলেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া। এই দিন থেকেই তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেল করছে নারী শক্তি। সকালেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মহিলাদের। কিন্তু একদম অন্যছবি দেখা গেল মহারাষ্ট্রের পুনেতে। যেখানে যেখানে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন  ছোট্ট শিশুকে যত্নের সঙ্গে বড় করে তুলছেন আদিত্য তিওয়ারি। তারই পুরস্কর স্বরূপ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে শ্রেষ্ঠ মায়ের সম্মানের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে তাঁকে।

আরও পড়ুনঃ মহিলারাই সমাজের ভিত্তি,আন্তর্জাতিক নারী দিবসে পরপর ৩টে ট্যুইট মুখ্যমন্ত্রীর

বিবাহিত নন আদিত্য। কিন্তু একজন সফল বাবা। একজন সফল মা। সবমিলিয়ে একজন সফল অভিভাবক। তবে পুরস্কার নিয়ে যে খুব বেশি চিন্তিত নন আদিত্য । তাঁর একটাই লক্ষ্য আগামী দিনে তাঁর দত্তক নেওয়া ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ছেলে একজন ভালো মানুষ তৈরি হোক। 

কথায় কথায় আদিত্য জানিয়েছেন প্রায় দেড় বছরের আইনি লড়াইয়ের পর অবনিশের দত্ত পেয়েছিলেন। সময়টা ২০১৬ সালের পয়লা জানুয়ারি। সেই দিনই তাঁর জীবনে সবথেকে সুখের মুহূর্ত। আদিত্য জানিয়েছেন, ইশ্বরের দেওয়া এটাই তাঁর কাছে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার। সেই থেকেই অবনিশের হাত ধরে নতুন করে পথ চলা শুরু করেছেন আদিত্য। একই সঙ্গে আদিত্য আরও জানিয়েছেন, বাবা বা মা কোনও একটি চরিত্রে নিজেকে আবদ্ধ রাখতে রাজি নন তিনি। অবনিশের কাছে নিজেকে একজন ভালো অভিভাবক হিসেবে প্রতিপন্ন করতে চান নিজেকে। অবনিশের মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে তোলাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। 

আরও পড়ুনঃ আনাহারে মৃত্যুর দাবি পরিবারের, দায় এড়াতে অন্য তথ্য ঝাড়খণ্ড সরকারের

আদিত্য আরও জানিয়েছেন, অবনিশই তাঁকে শিখিয়েছে কী করে একজন ভালো অভিভাবক হতে হয়। তবে তিনি প্রমান করে দিয়েছেন সন্তানের উপযুক্ত যত্ন একজন মা নিতে পারে এই ধারনা সম্পূর্ণ ভুল। তবে অবনিশকে দত্তক নেওয়ার রাস্তা খুব একটা সহজ ছিল না। অনেক চড়াই উতরাই পার হতে হয়েছে। তবে অবনিশ যে তাঁকে বাবা হিসেবে মেনে নিয়েছে এতেই কেটে গেছে যুদ্ধ জয়ের ক্লান্তি। 

 

অবনিশকে মানুষ করতে ছেড়ে দিয়েছেন মোটা মাইনের আইটি ফার্মের চাকরি। বর্তমানে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্যই কাজ করেন তিনি। পরামর্শ দেন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের অভিভাবকদের। যে সব শিশুদের বৌদ্ধিক বিকাশ কম তাঁদের বড় করে তুলার বিষয় নিয়েও চর্চা করেন তিনি। এই জাতীয় সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন রাষ্ট্র সংঘ থেকেও। তাই নারী দিবসে আদিত্য আর অবনিশের জন্য রইল অনেক শুভেচ্ছা। কামনা করা যেতেই পারে বাবা আর ছেলের চলার পথ যেন মসৃণ হয়। 

Share this article
click me!