মাত্র কয়েক দিন আগেই সাদা পাতায় একটি চিঠি লিখে নিজের দল ছাড়ার কথা জানিয়েছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের কাছে। রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ সেই দলবদলকারী নেতা রঘুবংশ প্রসাদ সিংএর মৃ্ত্যু হল দিল্লিতে। জুন মাস থেকেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রথমে পাটনায় তাঁর চিকিৎসা হচ্ছিল। কিন্তু বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সহায্যে দিল্লি এইমস হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসার পর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে তিনি করোনা নেগেটিভ ছিলেন। কিন্তু করোনা পরবর্তী অসুস্থতার কারণে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু সব চেষ্টা বিফলে দিয়ে রবিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৭৪ বছরের এই নেতা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন গত দুদিন ধরেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল রঘুবংশ সিংহের। তাঁকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল। এদিনই সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিহারে পেট্রোলিয়াম প্রকল্পের সূচনা করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি রঘুবংশ সিংহের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন রঘুবংশ সিংহের মৃত্যু বিহারের রাজনীতিতে অপুরণীয় ক্ষতি হল। কিন্তু এদিন তাঁর মৃত্যুর এক ঘণ্টারও কম সময় লালু প্রদাস যাদব সোশ্য়াল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রিয় রঘুবংশ বাবু! আপনি এটা কী করলেন? দীর্ঘ দিন ধরেই লালু প্রসাদ যাদবের সহযোগী ছিলেন। লালু প্রসাদের জেল যাত্রার কারণে আরজেডির দায়িত্ব তেজস্বী যাদবের হাতে। তেজস্বীর সঙ্গে মতের মিল না হওয়ায় তিনি দল ছাড়ার জন্য চিঠি দিয়েছিলেন। অন্যদিকে এদিন তেজস্বী যাদব বলেছেন তিনি দিল্লির এইমস হাসপাতালেও রঘুবংশের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। চিকিৎসকদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছিলেন। ক্যান্সার আক্রান্ত ছিলেন বলেই জানিয়েছেন তেজস্বী।
সুশান্ত সিং রাজপুত ইস্যুতে শরিকদের সমালোচনার জবাব, নীতিশ কুমারের প্রতি আস্থা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী
যদিও রঘুবংশের দল ছড়ার কথা মেনেনিতে পারেননি লালু প্রসাদ যাদব। তাঁর চিঠির উত্তরও দিয়েছিলেন তিনি। নিজের হাতে লেখা চিঠিতে লালু জানিয়েছিলেন পুরনো বন্ধুকে এত সহজে ছাড়তে পারবেন না তিনি। একই সঙ্গে রঘুবংশের আরোগ্য কামনা করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি জানিয়েছিলেন তিনি সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরেই দলীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।