২৯ জুন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ দিল্লি থেকে বিমানে করে মণিপুরের উদ্দেশে রওনা হন রাহুল গান্ধী। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ পৌঁছন ইম্ফলের বিমানবন্দরে।
অশান্তির আবহেই মণিপুর সফরে রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার সকালেই দিল্লি থেকে মণিপুরের ইম্ফলের উদ্দেশে রওনা দেন কংগ্রেস নেতা। গোষ্ঠীহিংসায় উত্তপ্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যে একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে রাহুল গান্ধীর। তবে সফরের গোড়াতেই বাধার মুখে পড়তে হল তাঁকে। বিজেপি শাসিত মণিপুরে ঢুকতেই পুলিশ তাঁর কনভয় আটকে দেয় বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। জানা যাচ্ছে ইম্ফল থেকে চুড়াচাঁদপুরের দিকে যাচ্ছিলেন রাহিল গান্ধী। কিন্তু ওই যাত্রাপথেই ইম্ফল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে বিষ্ণুপুরের কাছে আটকে দেওয়া হয় কংগ্রেসী নেতার কনভয়। এই প্রসঙ্গে এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল জানিয়েছেন,'ইম্ফলের থেকে ২০-২৫ কিলোমিটার দূরে চূড়াচাঁদপুর জেলার বিষ্ণুপুর এলাকায় রাহুলজির কনভয় আটকানো হয়েছে। কেন এই পদক্ষেপ তা আমরা জানি না। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে হামলার আশঙ্কায় আটকানো হয়েছে রাহুলের কনভয়।
২৯ জুন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ দিল্লি থেকে বিমানে করে মণিপুরের উদ্দেশে রওনা হন রাহুল গান্ধী। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ পৌঁছন ইম্ফলের বিমানবন্দরে। দু'দিনের কর্মসূচি নিয়ে মণিপুরে গিয়েছেন রাহুল। বর্তমানে গোষ্টীহিংসায় উত্তপ্ত উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য একদিকে মেইতি সম্প্রদায় হিংসার জন্য কুকি আদিবাসীদের দায়ী করছে, অন্যদিকে কুকি সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছে কুকি সম্প্রদায়। আপাতত এই বিষয়ে শুনানি হবে ৩ জুলাই। এদিকে, মেইতি সম্প্রদায়ের ওয়ার্ল্ড মেইতি কাউন্সিল নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে পুরো ঘটনা নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে। মেইতি কাউন্সিল স্পষ্টভাবে বলেছে যে তাদের বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে এবং কুকি সম্প্রদায়ের সশস্ত্র বিদ্রোহীরা হিংসা শুরু করেছে।
নয়াদিল্লিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওয়ার্ল্ড মেইতি কাউন্সিল বলেছে যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার কুকি জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। তাই তারা মেইতি সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে যাতে তাদের পরিকল্পনা কার্যকর করা যায়। কুকি সম্প্রদায় একটি পৃথক প্রশাসনের দাবি করছে, তাই তারা মেইতি সম্প্রদায়কে শেষ করে দিতে চায়। অন্যদিকে, রাজ্যে হিংসার সময় সরকার পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়নি। এই কারণেই রাজ্যে এখনও হিংসা অব্যাহত রয়েছে। মণিপুরের লাইফলাইন হিসেবে বিবেচিত ন্যাশনাল হাইওয়ে-২ অবরুদ্ধ করে রেখেছে কুকি জঙ্গিরা। চিন-কুকি চরমপন্থী ও সরকার দ্বন্দ্বে লিপ্ত হলেও মেইতিই সম্প্রদায়কে বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে।