দফায় প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে আলোচনার সময় প্রথম থেকেই তেমন ভাবে উপস্থিত ছিলেন না রাহুল গান্ধী। তবে উপস্থিত ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কিন্তু এটাই যথেষ্ট ছিল না বলেও মনে করছে প্রশান্ত কিশোরের ঘনিষ্টরা। প্রথম থেকেই প্রশান্ত কিশোরের একটা সন্দেহ ছিল।
দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলবারই ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর ও কংগ্রেস দুই পক্ষই ঘোষণা করেছে যে তারা একে অপরে হাত ধরছে না। তারপরই উঠছে প্রশ্ন- কেন কংগ্রেসের হয়ে ভোট কৌশলের দায়িত্ব নিলেন না প্রশান্ত কিশোর। আবার কেনই কংগ্রেস তাঁকে খালি হাতে ফেরাল। কারণ দুই পক্ষই একাধিকবার আলোচনায় বলেছিল। ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের রণনীতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য। যেখানে উপস্থিত ছিলেন সনিয়া গান্ধী। প্রশান্ত কিশোরও তাঁর পরিকল্পনার কথা স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন।
যদিও এদিন কংগ্রেস জানিয়েছে কংগ্রেসে যোগ দিতে এমন আগ্রহী ব্যক্তির জন্য তাদের দলের দরজা সর্বদা খোলা হয়েছে। কংগ্রেস নেতা পবন খেরা জানিয়েছেন কংগ্রেস একটি রাজনৈতিক দল। দলটি বর্তমানে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে চলছে। দলের নেতা কর্মীদের আকাঙ্খা পুরণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা হবে।
তবে প্রশান্ত কিশোরের ঘনিষ্ট সূত্রের খবর কিন্তু সম্পূর্ণ অন্য। প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসকে যে পরামর্শ দিয়েছে সেগুলি কংগ্রেস গ্রহণ করতে পারে। কারণ কংগ্রেস নেতৃত্ব সেই বিষয়ে যথেষ্ট উৎসাহী ছিল। কিন্তু প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসের অংশ হওয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাহুল গান্ধীর বিদেশ সফর। এমন সময় কংগ্রেস সাংসদ বিদেশ সফরে রয়েছেন যখন তাঁরই দল একটি বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। প্রশান্ত কিশোর ইস্যুতে আলোচনার জন্য রাহুল গান্ধী বিদেশ সফরের সময় পিছিয়ে দিলে ভালো হত বলেও মনে করেছে পিকে ঘনিষ্টরা।
যদিও এই দফায় প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে আলোচনার সময় প্রথম থেকেই তেমন ভাবে উপস্থিত ছিলেন না রাহুল গান্ধী। তবে উপস্থিত ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কিন্তু এটাই যথেষ্ট ছিল না বলেও মনে করছে প্রশান্ত কিশোরের ঘনিষ্টরা। প্রথম থেকেই প্রশান্ত কিশোরের একটা সন্দেহ ছিল। ঘনিষ্টরা মনে করেন প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগদানে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দলের প্রবীণ নেতারা। তারা প্রশান্ত কিশোরের পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও প্রশান্ত কিশোরকে গ্রহণ করতে রাজি ছিলেন না বলেও মনে করা হচ্ছে।
প্রশান্ত কিশোরের ঘনিষ্টরা মনে করছেন দলের এই বিক্ষুদ্ধ শ্রেনীকে একমাত্র রাহুল গান্ধী বোঝাতে পারতেন। কিন্তু তিনি এই সবকিছু থেকে দূরে থাকতে চেয়েই বিদেশ সফরে চলে গেছেন। এদিনই কংগ্রেস নেতা দ্বিগবিজয় সিং সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেছেন, পরামর্শদাতার কোনও প্রয়োজন নেই , পার্টিতে দ্রুত নিজের ঘর গোছাতে হবে। প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেস কী ভূমিকা তার জন্য সনিয়া গান্ধী যে প্যানেল তৈরি করেছিলেন তাতে ছিলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রশান্ত কিশোরের সূত্রে বলা হয়েছে প্রশান্ত কিশোরের পরিকল্পনাগুলির কয়েকটি কংগ্রেসের পছন্দ হয়েছিল। কিন্তু প্রশান্ত কিশোরকে পছন্দ করেননি দলেরই একটা অংশ। সেই কারণেই দীর্ঘ আলোচনা হওয়ার পরেও দুই পক্ষ আলাদা রাস্তায় হাঁটে।
কংগ্রেসের হাত ধরছেন না ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর, একমাস ধরে চলা জল্পনার অবসান
টুইটারের হাত বদলের পর কি ভারতের আইন বদলে যাবে, স্পষ্ট করে উত্তর দিয়েছেন রাজীব চন্দ্রশেখর
অবশেষে এল বৃষ্টির পূর্বাভাস, কিন্তু তারজন্য এখনও অপেক্ষা করতে হবে দক্ষিণবঙ্গবাসীকে