লোকসভায় হিন্দুদের নিয়ে 'কু'-মন্তব্য! রাহুলকে তীব্র কটাক্ষ স্বামী অবধেশানন্দ গিরির, দেখুন ভিডিও
কিছুদিন আগেই লোকসভায় হিন্দুদের আক্রমণ করেছেন রাহুল বলে অভিযোগ এনেছেন বিজেপি। এদিন রাহুল বলেন, ‘হিন্দুধর্ম ভয় ও ঘৃণা ছড়াতে পারে না। কিন্তু বিজেপি নিজেদের হিন্দু বলে দাবি করলেও সেই কাজটাই করে যায়। তারা হিংসার কথা, ঘৃণার কথা আর অসত্য কথা বলে। ’
রাহুলের এই ভাষণের তীব্র বিরোধিতা করে এনডিয়ে জোটের নেতারা। প্রায় ১.৪২ ঘণ্টা ধরে চলা রাহুলের ভাষণে লোকসভায় দাঁড়িয়েই বিরোধিতা করেন নরেন্দ্র মোদী।
রাহুলের এই মন্তব্যে এবার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাধুরাও। রাহুল গান্ধীর ভাষণ প্রসঙ্গে স্বামী অবধেশানন্দ গিরি বলেন, ‘হিন্দুরা সবার মধ্যে ঈশ্বরকে দেখেন, হিন্দুরা অহিংস ও উদার। হিন্দুরা বলে যে পুরো পৃথিবী তাদের পরিবার এবং তাদের সর্বদা সকলের কল্যাণ, সুখ এবং সম্মানের জন্য প্রার্থনা করা উচিত। হিন্দুদের হিংস্র বলা বা তারা ঘৃণা ছড়াচ্ছে বলা ঠিক নয়। এই ধরনের কথা বলে রাহুল গোটা সমাজের বদনাম করছেন, বদনাম করছেন। হিন্দু সমাজ অত্যন্ত উদার এবং এটি এমন একটি সমাজ যা সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে এবং সকলকে সম্মান করে। এই ধরনের কথা বলে রাহুল সমাজকে ও সাধুদের ক্ষুব্ধ করেছেন। আমি এই কথার নিন্দা জানাই। তাঁর এই কথাগুলো প্রত্যাহার করা উচিত। গোটা সমাজ ব্যথিত হয়েছে, সাধুসমাজে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এর জন্য ওঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত। ’
এ ছাড়াও গাদ্দি নাশিন-দরগাহ আজমির শরিফ বলেছেন, “আমরা বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর বক্তব্য শুনেছি, যেখানে তিনি 'অভয়মুদ্রা' প্রতীককে ইসলামিক প্রার্থনা বা ইসলামিক উপাসনার সঙ্গে যুক্ত করার কথা বলেছিলেন, যা কোনও পবিত্র ধর্মগ্রন্থে বা এমনকি সাধুদের শিক্ষায় উল্লেখ করা হয়নি।”
রাহুল গান্ধীর ভাষণ সম্পর্কে অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানশীন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সৈয়দ নাসিরুদ্দিন চিশতি বলেন, “আজ সংসদে বক্তব্য রাখার সময় রাহুল গান্ধী বলেছেন যে ইসলামেও 'অভয়মুদ্রা' রয়েছে। ইসলামে মূর্তি পূজার কোনো উল্লেখ নেই, নেই কোনো ধরনের মুদ্রা। আমি এটা খণ্ডন করছি, ইসলামে 'অভয়মুদ্রা'র কোনও উল্লেখ নেই এবং আমি বিশ্বাস করি যে রাহুল গান্ধীর তার বক্তব্য সংশোধন করা উচিত।”
সংসদে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর ভাষণ সম্পর্কে গুরুদুয়ারা পাটনা সাহিবের সভাপতি জগজ্যোত সিং বলেছেন, “আজ অত্যন্ত দুঃখের দিন কারণ আমাদের বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী যেভাবে সভার সামনে ধর্ম সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন , আমার মতে তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই, তিনি সভায় ভুল তথ্য উপস্থাপন করেছেন। আমি তাঁকে অনুরোধ করব যে যতক্ষণ না কোনও ধর্ম সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়, তা সে শিখ ধর্ম, হিন্দু ধর্ম বা অন্য কোনও ধর্মই হোক না কেন, সবার কাছে প্রথমে সম্পূর্ণ তথ্য থাকা উচিত, তারপর কথা বলা উচিত”