পূর্ব লাদাখ সীমান্তে এখনও পর্যন্ত উত্তেজনা কমেনি। উল্টে শনি ও রবিবার রাতে তা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপর থেকেই পূর্ব লাদাখ সীমান্ত আবারও শুরু হয়েছে প্রশাসনিক তৎপরতা। সূত্রের খবর পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত জানতে ও আগামী কৌশলগত রণ কৌশল নির্ণয় করতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। অন্যদিকে চিন সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করে রীতিমত সাফাই গাইতে শুরু করেছে।
রাজনাথ সিং-এর সঙ্গে বৈঠকে বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত, সেনা প্রধান এমএম নারাভানে ও ডিরেক্টর জেনারেল মিলেটারি অপারেশন লেফ্যানেন্ট জেনারেল পারমজিত সিং ।
উত্তপ্ত প্যাংগং-এ আধিপত্য বিস্তার ভারতের, লাল ফৌজদের প্রতিহত করতে অবস্থান কালা পাহাড়ে .
কোভ্যাক্সিন পুরোপুরি নিরাপদ , প্রথম দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর আশার আলো দেখছেন বিশেষজ্ঞর
সূত্রের খবর এই বৈঠকের মূল অ্যাজেন্ডাই হল আগামী দিনের সীমান্ত নিয়ে কী অবস্থান গ্রহণ করবে ভারত। পাশাপাশি চিনের সঙ্গে সর্বশেষ আলোচনার ফলাফল বিশ্লেষণ করা। সোমবারই সামনে এসেছে, চিনের প্রায় দেড়শোরও বেশি সেনা ভারতীয় জাওয়ানদের প্ররোচিত করতে চেয়েছিল। পাশাপাশি লাদাখ সীমান্ত পরিস্থিতিও বদল করতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ ভারতের।
কিন্তু ভারতের দাবি মানতে নারাজ চিন। মঙ্গলবার চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনইং জানিয়েছেন, চিন কখনই যুদ্ধ বা কোনও সংঘাতকে উস্কে দেয়নি। পাশাপাশি তাঁর দাবি চিনের সেনা বাহিনী কখনও অন্য দেশের সীমান্ত অতিক্রম করেনি। যোগাযোগের কোনও সমস্যা রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব হবে বলেও দাবি করেছে বেজিং। গত ৭০ বছর নতুন চিন প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে বিদেশী কোনও রাষ্ট্রের ভূখণ্ডে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার কাজ থেকে বিরত থেকেছে বলেও দাবি করেছে বেজিং। একই সঙ্গে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন দুই দেশের মানুষই শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বিশ্বাসী। তাই শান্তিপূর্ণভাবেই সীমান্ত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।