রাম নবমীতে সূর্যের আলো ঠিক বেলা বারোটায় মন্দিরের শিখরের ওপর পড়বে। এরপর তা মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করবে ভগবান রামের কপাল স্পর্শ করবে। সেভাবে এই মন্দিরের নির্মাণ করা হচ্ছে।
এবড়ো খেবড়ো মাটি, রুক্ষ্ম ভূমি। তার ওপর এত বড় ইমারত তৈরি করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু তার পরেও তৈরি হচ্ছে রামমন্দির। একাধিক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গেছে এর নির্মাণ। এশিয়ানেট নিউজের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান রাজেশ কালরাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে এমনই বললেন রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র। তিনি বলেন ১২ মিটার গভীর এর ভিত, এর পর গ্রানাইটের শক্ত ভিত তৈরি করা হয়েছে। যখন ভিত তৈরি করা হয়ে গেল, তখন সামনে দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ ছিল এর ওপর পাথরের বড় বড় ব্লক কীভাবে রাখা হবে। এতে সাহায্য করে আইআইটি চেন্নাই। ভূমিকম্প ও নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয় সামলানো মূল লক্ষ্য ছিল। সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট এই বিষয়ে কাজ করেছে।
নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেন সারা মন্দিরের ভূমি স্তরে থাকবে রাম জন্মকথা, ৩৫০টি পিলার, যাকে ভিত্তি করে তৈরি হবে দেবাঙ্গন। পিলারে থাকবে নানা দেবতার মূর্তি। তবে নানা রকমের মতপার্থক্যের মধ্যে দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই রাম মন্দির।
এতো গেল মন্দির নির্মাণের কথা। কিন্তু যাঁকে ঘিরে এত আয়োজন সেই শ্রীরামের বিগ্রহ কেমন হবে! সেকথাও তুলে ধরেন রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন ২০২৪ সালের ১৪ই জানুয়ারি বিগ্রহের স্থাপন হবে। সেদিন বিশেষ পুজো হবে। উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আরও এক বিশেষ পরিকল্পনার কথা শুনিয়েছেন নৃপেন্দ্র মিশ্র।
তিনি বলেন রাম নবমীর দিন, যদি ১৭ লক্ষ ভক্ত আসেন, তবে সেই মতই ব্যবস্থা করা হবে। রাম নবমীতে সূর্যের আলো ঠিক বেলা বারোটায় মন্দিরের শিখরের ওপর পড়বে। এরপর তা মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করবে ভগবান রামের কপাল স্পর্শ করবে। সেভাবে এই মন্দিরের নির্মাণ করা হচ্ছে। রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র আরও জানিয়েছেন, মন্দির চত্বরে আগত ভক্তরা প্রায় এক ঘণ্টা থাকার সুযোগ পাবেন। রামলালার দর্শন পেতে প্রায় ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে ভক্তদের। ভক্তরা ২০ সেকেন্ড রামলালার দর্শন করতে পারবেন। এর পরে, মন্দির চত্বর থেকে ভক্তদের সুবিধামত বের হওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।