ওই মহিলা ধর্মান্তরিত হতে অস্বীকার করলে তাকে খুন করারও চেষ্টা করা হয়। ওই মহিলা জানিয়েছেন, কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান তিনি।
চাকরি দেওয়ার নামে ধর্ষণ ও ধর্মান্তরের চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে খোদ যোগীর রাজ্যের আলিগড়ে। এখানে দুটি বিশেষ সম্প্রদায়ের যুবকরা চাকরির অজুহাতে একজন হিন্দু মহিলাকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ। অভিযুক্তরা ওই মহিলাকে নিজেদের হিন্দু বলে পরিচয় দিয়ে কথা বলে এবং তারপর মহিলার একটি অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দেয় এবং তাকে ব্ল্যাকমেইল করে কয়েক মাস ধরে হয়রানি করে।
ওই মহিলা ধর্মান্তরিত হতে অস্বীকার করলে তাকে খুন করারও চেষ্টা করা হয়। ওই মহিলা জানিয়েছেন, কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান তিনি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর অভিযোগে শাসনী গেট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ মূল অভিযুক্ত রেহামকে গ্রেফতার করলেও অপরজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। বিষয়টি তদন্তে একটি টিম গঠন করা হয়েছে।
চাকরির নামে ধর্মান্তরের চেষ্টা
ভুক্তভোগী ওই তরুণী বলেন, 'আমি একজন হিন্দু নারী, ওই লোকটি আমাকে হিন্দু পরিচয় দিয়ে দেখা করে, সে বলে, আমি তোমাকে চাকরি দিতে চাই, সে তার নাম নেহাল চৌধুরী বলে, কিন্তু পরে জানা যায় তার নাম রেহাম। আমাকে একটা চাকরি দেওয়ার জন্য ডাকলেন, আমি যখন সেখানে পৌঁছলাম, তিনি আমাকে বললেন উপরে যেতে, আপনি আমার ভাইকে সেখানে পাবেন, তাকে একটি ইন্টারভিউ দিতে হবে। এই সময় অভিযুক্ত আমাকে কিছু খাওয়ায় এবং তারপর সে কী করল তা বলতে পারব না। আসামিরা আমার ভিডিওও করেছে। ভিডিও বানানোর পর সে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে এই বলে যে, আমি কাউকে কিছু বললে বেশি টাকার বিনিময়ে ভিডিও বিক্রি করবে বলে হুমকি দেয়।
অভিযুক্তরা হিন্দু পরিচয় দিয়ে মহিলার সঙ্গে দেখা করে
ভিকটিম বলেন, অভিযুক্ত আমাকে আগে বলেছিল তার নাম নেহাল চৌধুরী অথচ আইডিতে তার নাম রেহাম। অভিযুক্ত টপ্পলের বাসিন্দা, সে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করার পর ফোন করত এবং নির্যাতন করত। তিনি আমাকে ধর্মান্তরিত করতে বলেন, আমি ধর্মান্তরিত করতে অস্বীকার করলে সে আমাকে হত্যার চেষ্টা করে এবং আমার শার্ট খুলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার চেষ্টা করে। সে চেয়েছিল আমি আমার ধর্ম পরিবর্তন করি।
পুলিশ জানিয়ে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার থেকে তার শাগরেদের খবর জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। আর কারা এই চক্রে রয়েছে, তাও জানার চেষ্টা চলছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি করেছেন নির্যাতিতা।