'আজ আমার বড়দিন'। সুপ্রিম কোর্ট নির্ভয়াকাণ্ডের দুই আসামির করা কিউরেটিভ পিটিশন বা প্রাণবিক্ষার আবেদন খারিজ করার পর অবশেষে হাসি ফুটল নির্ভয়ার মা আশাদেবীর মুখে। ঠোঁট ফাঁক হল না, শুধু গালের সামান্য ভাঁজ ফেলে মৃদু একটা হাসি। তবু সাত বছর ধরে শক্ত করে রাখা চোয়ালটা আজ যেন একটু শিথিলতার বিলাসিতা পেল।
নির্ভয়াকাণ্ডের চার আসামি বিনয়, পবন শর্মা, মুকেশ ও অক্ষয়ের হাতে শেষ আইনি খড়কুটো বলতে ছিল এই মৃত্যু পরোয়ানার বিরুদ্ধে করা প্রাণভিক্ষাার আবেদনটিই। সেটিও মঙ্গলবার খারিজ করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। ফাঁসিকাঠ এড়াবার আর কোনও রাস্তাই খোলা নেই। তবু এই দিনটিকে বড় দিন বলেও এটিই জীবনের সবচেয়ে বড়দিন তা মানতে নারাজ আশাদেবী।
আরও পড়ুন - প্রাণভিক্ষার শেষ আর্জিও খারিজ, নির্ভয়াকাণ্ডের ফাঁসির কাউন্টডাউন শুরু
আরও পড়ুন - ফাঁসির দিনক্ষণ ঘোষণার পর কী প্রতিক্রিয়া ছিল নির্ভয়ার চার আসামির, জানালেন খোদ জেলকর্তা
আরও পড়ুন - 'ঝুলিতে আমার ছেলের প্রাণ দিন', নির্ভয়ার মায়ের কাছে আঁচল পাতলেন ধর্ষকের মা
আরও পড়ুন - মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা জারির পরও থামছে না বিতর্ক, কাঠগড়ায় স্বয়ং বিচার ব্যবস্থা
সেটি আসছে ২২ তারিখ। সকাল ৭টাতেই ফাঁসি। তৈরি ফাঁসিকাঠ। বক্সার থেকে এসে গিয়েছে ফাঁসির দড়ি। তাতে মাখানো হচ্ছে মাখন। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত চার পিশাচের গলার মাপও নেওয়া হয়ে গিয়েছে। তৈরি আছেন পবন জল্লাদও।
আশাদেবী এদিন বলেছেন, 'আজকের দিনটা আমার জীবনে খুব বড় দিন। আমি গত ৭ বছর ধরে লড়াই করে যাচ্ছি। তবে সবচেয়ে বড় দিনটি আসবে ২২ জানুয়ারি, যখন ওদের (আসামিদের) ফাঁসি দেওয়া হবে'। তাই প্রাণ খোলা হাসিটা বোধহয় সেইদিনটার জন্যই তুলে রাখলেন তিনি। এদিন ওই মৃদু হাসি আর আঙুল দিয়ে জয়সূচক 'ভি' চিহ্ন দেখানোর মধ্যেই সংযত রাখলেন নিজেকে।