শেষ সম্বলটাও চলে গেল নির্ভয়া কাণ্ডের ধর্ষকদের। চার আসামির মধ্যে দুইজন, বিনয় শর্মা এবং মুকেশ সিং কিউরেটিভ প্লি বা প্রাণভিক্ষার আর্জি করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু মঙ্গলবার পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ তাদের সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। বিচারপতি এনভি রমনা, অরুণ মিশ্র, আরএফ নরিমান, আর ভানুমতি ও অশোক ভূষণে-এর বেঞ্চ এদিন শুনানির শেষে জানিয়ে দেন, তাদের মৃত্যু পরোয়ানাই বহাল থাকছে।
আদালতের এই রায়ের পর নির্ভয়ার মা আশা দেবী সংবাদ জানিয়েছেন, এদিন মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা ফাঁসির প্রক্রিয়াটা বিলম্বিত করতেই সুপ্রিম কোর্টে এই আবেদন জানিয়েছিল। তিনি নিশ্চিত ছিলেন তাদের আবেদন খারিজ হয়ে যাবে। ২২ জানুয়ারি নির্ভয়া ন্যায়বিচার পাবে।
আরও পড়ুন - 'ঝুলিতে আমার ছেলের প্রাণ দিন', নির্ভয়ার মায়ের কাছে আঁচল পাতলেন ধর্ষকের মা
এর আগে দিল্লির একটি আদালত নির্ভয়া কাণ্ডের আসামিদের নামে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে। আগামি ২২ জানুয়ারি সকাল ৭টায় দিল্লির তিহার জেলে তাদের ফাঁসি হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে এরপরও তাঁরা কিউরেটিভ পিটিশন বা প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপরই বিনয় এবং মুকেশ শীর্ষ আদালতে সেই আবেদন করেছিলেন।
আরও পড়ুন - ফাঁসির দিনক্ষণ ঘোষণার পর কী প্রতিক্রিয়া ছিল নির্ভয়ার চার আসামির, জানালেন খোদ জেলকর্তা
এদিনের রায়ের ফলে নির্ধারিত দিনেই ফাঁসি হবে। ইতিমধ্যেই, গত রবিবার তিহার জেলে বস্তার মধ্যে পাথর ও বালি ভরে আসামিদের ওজনের সঙ্গে মিলিয়ে ফাঁসির মহড়া হয়ে গিয়েছে। এই প্রথম ভারতে একসঙ্গে চারজনের ফাঁসি দেওয়ার মতো ফাঁসি কাঠ তৈরি করা হয়েছে। তাই সেই কাঠ ওজন বইতে পারবে কিনা দেখার প্রয়োজন ছিল। মহড়াতে সবকিছু ঠিকঠাকই গিয়েছে।
আরও পড়ুন - নির্ভয়াকাণ্ডে কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল সুপ্রিম কোর্টে, পিছিয়ে যাবে কি ফাঁসি
তিহারের তিন নম্বর কারাগারে এই ফাঁসি কার্যকর করা হবে। মেরঠ থেকে ফাঁসুড়ে পবন জল্লাদ-কে ডাকা হয়েছে এই চার আসামিকে ফাঁসি দেওয়ার জন্য। তিহার কর্তৃপক্ষ উত্তরপ্রদেশের কারা বিভাগকে এই বিষয়ে চিঠি দিয়েছে। এই মুহূর্তে আসামিদের মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে কারা কর্তৃপক্ষের তরফে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের সঙ্গে প্রতিদিনই কথা বলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন - নির্ভয়া কাণ্ডের চার দোষীর ফাঁসিতেই ভাঙবে দাদুর রেকর্ড, গর্বিত পবন জল্লাদ