তরুণীকে হত্যায় অভিযুক্ত তরুণ ২১ বছরের ফেনিল গোয়ানি। নিহত তরুণী গ্রীষ্মামা ভেকারিয়া তাঁর সঙ্গেই একই কলেজে একই ক্লাসে পড়ত। দুজনেই প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ছিল। অভিযোগ গত এক বছর ধরে গ্রীষ্মামাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল ফেনিল। কিন্তু তাতে রাজি ছিল না তরুণী।
দীর্ঘ এক বছর ধরে হয়রান করার পরেও তরুণীকে বাগে পায়নি। কিন্তু হার মানতে নারাজ তরুণ প্রেম দিবসের ঠিক দুদিন আগেই মেয়েটি পরিবারের সদস্যদের সামনে তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা (Murder)করে। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে গুজরাটের (Gujarat) সুরাটে (Surat)। অভিযুক্ত তরুণ মেয়েটির বাড়়িতে চড়াও হয়ে সেখানেই তরুণীর গলায় ব্লেড চালিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় তরুণীর। তবে তরুণীকে উদ্ধার করতে গিয়ে অভিযুক্তের হাতে রীতিমত জখম হল মৃতার কাকা ও ভাই।
তরুণীকে হত্যায় অভিযুক্ত তরুণ ২১ বছরের ফেনিল গোয়ানি। নিহত তরুণী গ্রীষ্মামা ভেকারিয়া তাঁর সঙ্গেই একই কলেজে একই ক্লাসে পড়ত। দুজনেই প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ছিল। অভিযোগ গত এক বছর ধরে গ্রীষ্মামাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল ফেনিল। কিন্তু তাতে রাজি ছিল না তরুণী। এরক জন্য মাঝে মাঝে সকলের সামনেই তরুণীকে হেনস্থা করত। কলেজ পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, শনিবারও সাকালে তরুণী কলেজ থেকেই তার পরিবারের সদস্যদের ফোন করেছিল। কারণ সেদিন কলেজেও ফেনিল গ্রীষ্মাকে নির্যাতন করেছিল। কলেজের মধ্যেই হেনস্থা করেছিল। তরুণীর ফোন পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসে।
কিন্তু তারপরই তরুণীর খোঁজে ফেনিল পিছু পিছু তাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। নিহত তরুণীর ভাই জানিয়েছেন, ফেনিল গোয়ানি তাদের অনুসরণ করে কামরেজ এলাকার লক্ষ্ণীধাম সোসাইটিতে আসে। সোসাইটির মধ্যে ফেনিলকে ঘুরতে দেখেই নিহতের ভাই ধ্রুব পরিবারের সদস্যদের সতর্ক করে। কাক সুভাষ ভেকারিয়াকে সবকিছু জানান হয়। নিহতের ভাই ও কাকা দুজনেই ফেনিলের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। ফেনিল প্রকাশ্যেই গ্রীশমাকে হেনস্থা করতে শুরু করে।
সেই সময়ই গোয়ানি ছুরি বার করে। সেই ছুরি সরাসরি ঢুকিয়ে দেয় নিহতের কাক সুভাষের পেটে। তারপরই টার্গেট করে ভাই ধ্রুবকে। ধ্রুবের ডান হাতের কবজিতে ছুরি দিয়ে কোপ মারে। কিন্তু সেই সময় ধ্রুত ছুরিটি ছিনিয়ে নেয়। কিন্তু তারপরই ফেনিল একটি ব্লেড বার করে। তা চেপে ধরে তরুণীর গলায়। পরিবারের সদস্যরা সকলে তরুণীকে উদ্ধার করতে যায়। কিন্তু ফেনিলকে শান্ত করার চেষ্টা করে। সেই সময়ই ফেনিল ছুরি দিয়ে তরুণীর শ্বাসনালী চিরে দেয়। তারপর মৃতদেহ ফেলে দিয়ে চলে যায়।
শনিবার গভীর রাতে অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতা নিহতের পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে, গত এক বছর ধরেই ছেলেটি মেয়েটিকে উত্যক্ত করত। কিন্তু নির্যাতিতার পরিবার কোনও কখনই পুলিশের কাছে আসেনি। দুই পরিবারেই একই সম্প্রদায়ের। পারিবারিক বন্ধুত্বও ছিল। তারা ভেবেছিল এমনিতেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। পুলিশ আরও জানিয়েছে মেয়েটির বাবা হীরা ব্যবসায়ী । দীর্ঘ আট আম ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও তাদের হাতে এসেছে। ঘটনার তদন্তে ফরেন্সিক প্রমাণ হাতে এসেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করতে সেগুলি গুরুত্বপূর্ণ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অভিযুক্তকেও। এি ঘটনায় দ্রুত চার্জশিট পেশ করা হবে বলেও জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। তবে এই ঘটনার নিন্দা করেছেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতারা। তাঁরা বলেছেন গুজরাটে মদ নিষিদ্ধ। কিন্তু সকলেই জানে তা বেআইনিভাবে বিক্রি হয়। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলারও অবনতি হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন সেই বিষয়ে উদাসীন বলেও অভিযোগ স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের।
এই ৪ সঙ্কেত জানান দেয়, আপনার সম্পর্কে সম্মানের ঘাটতি রয়েছে
'মারা গেলে লাল গোপাল রেখে আসব', স্ত্রীর ইচ্ছাপুরণে প্রেমের দিনে আত্মঘাতী তরুণ
ডাক্তার সেজে ১৪ মহিলাকে বিয়ে, ওড়িশার প্রতারক ৭ রাজ্যে বানিয়েছিল শ্বশুরবাড়ি