গাড়ির সঙ্গে সারমেয় বেঁধে গাড়ি ছোটানোর ঘটনায় গ্রেফতার যোধপুরের ডাক্তার, কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে পশুপ্রেমীরা

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে চারচাকা গাড়ির সঙ্গে চেন দিয়ে বাঁধা একটি সারমেয়। সেই অবস্থাতেই তীব্র গতিতে ছুটে চলেছে গাড়ি। নৃশংস এই ঘটনা দেখে রীতিমত সিউড়ে ওঠে নেটিজেনরা। সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

Ishanee Dhar | Published : Sep 19, 2022 7:46 AM IST / Updated: Sep 19 2022, 01:18 PM IST

গাড়ির সঙ্গে সারমেয়কে চেন দিয়ে বেঁধে গাড়ি ছোটানোর অপরাধে গ্রেফতার করা হল যোধপুরের এক খ্যাতনামা চিকিৎসকে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে চারচাকা গাড়ির সঙ্গে চেন দিয়ে বাঁধা একটি সারমেয়। সেই অবস্থাতেই তীব্র গতিতে ছুটে চলেছে গাড়ি। নৃশংস এই ঘটনা দেখে রীতিমত সিউড়ে ওঠে নেটিজেনরা। সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সরব হয় একাধিক পশুপ্রেমী সংস্থাও। তবে সোশ্যাল মিডিয়াতেই আটকে থাকেনি প্রতিবাদ। সোমবার ঘটনার জেরে আটক করা হল যোথপুরের খ্যাতনামা প্লাস্টিক সার্জেন রজনীশ গালওয়াকে। 

অভিযুক্ত চিকিৎসককে ভারতীয় দণ্ডবিধির প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিমেলস অ্যাক্টের ১১ নম্বর ধারায় অবলা জীবদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ, ধারা ৪২৮, প্রাণী হত্যার চেষ্টার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, গোটা ঘটনার প্রেক্ষীতে কোনও ব্যাখ্যা এখন পর্যন্ত দেননি ডাঃ গালওয়া। এস এন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং নিয়ন্ত্রক, ডাঃ দিলীপ কাচাওয়াহা জানিয়েছেন, ডাঃ গালওয়ার কাছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে  গোটা ঘটনার  ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন - কুকুরকে গাড়িতে বেঁধে শহরে ঘোরাল চিকিৎসক, ভিডিও দেখে ছিঃ ছিঃ করছে নেটিজেনরা

সূত্রের খবর রাজস্থানের যোধপুরের শাস্ত্রী নগর কলনি এলাকার বাসিন্দা ডাঃ গালওয়া। ওই কলনি এলাকার একটি কুকুর ঢুকে বিরোক্ত করত বলে জানা যাচ্ছে। রবিবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় রাগের মাথায় একটি দড়ি সারমেয়র গলায় বেঁধে, অপর প্রান্তটি একটি গাড়ির সঙ্গে বেঁধে তীব্র গতিতে গাড়ি ছোটাতে থাকেন। বিপদজনক অবস্থায় সারমেয়টিকে টেনে নিয়ে যায় গাড়ি। 

আরও পড়ুন - লটারিতে ২৫ কোটি টাকা জিতলেন তিরুবনন্তপুরমের অনুপ। জেনে নিন লটারির খুঁটিনাটি

এই ঘটনা নজড়ে আসতেই জোর করে গাড়িটিকে থামিয়ে কুকুরটিকে উদ্ধার করা হয়। যদিও শেল্টার হোমের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। শেল্টার হোমের তত্ত্বাবধায়কের দাবি প্রথম দিকে কোনও রকমের সাহোযোগিতা করা হয়নি পুলিশের পক্ষ থেকে। উপরোন্তু বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ছাড়া হয়নি আহত সারমেয় সহ অ্যাম্বুল্যান্সকে। পাশাপাশি তাঁদের দাবি অভিযুক্ত চিকিৎসকের প্রভাবেই কাজ করছিল পুলিশ। এমনকি ঘটনার দু-ঘন্টা পর্যন্ত দায়ের করা হয়নি এফআইআরও। 

আরও পড়ুন - পুজোর মধ্যে আগুন দাম বিমানের টিকিটের, কলকাতা-দিল্লি-মুম্বই যাতায়াতে খরচ কত?

Share this article
click me!