গত বছর শ্রীনগর শহরের উপকণ্ঠে সেনা-পুলিশ যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হয় এক কমান্ডার সহ একাধিক লস্কর জঙ্গি। ওই লড়াইয়েই মারা যান জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এএসআই বাবু রাম।
প্রজাতন্ত্র দিবসেই দেশের একাধিক বীর সৈনিককে বীরত্বের পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ(President Ramnath Kovind)। এমনকি কোথাও জঙ্গি দমন তো কোথাও শত্রুপক্ষের সঙ্গে লড়াইয়ে প্রাণপাত করা বীর সেনা-জওয়ানেরাও পুরষ্কার প্রাপকের তালিকায় রয়েছে। ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবসেই (73rd Republic Day) এবার জঙ্গি দমনে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য, সর্বোপোরি তাঁর বীরত্বের জন্য মরণোত্তর অশোক চক্র পুরষ্কার (Ashoka Chakra Award) পাচ্ছেন জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) বাবু রাম(Jammu and Kashmir Police Assistant Sub-Inspector (ASI) Babu Ram)। অশোক চক্রই দেশের সর্বোচ্চ শান্তিকালীন বীরত্ব পুরস্কার। জঙ্গি দমনে সেনাকে বিশেষ ভাবে সাহায্যে ও জঙ্গি নিকেশ অভিযানে অসীম সাহসিকতার জন্যই এই পুরষ্কার পাচ্ছেন উপত্যাকার পুলিশ বাহিনীর এই পরাক্রমশালী পুলিশ কর্মী।
এদিকে রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ ইতিমধ্যেই সেনা, পুলিশ এবং আধাসামরিক কর্মীদের জন্য মোট ১৪৪টি বীরত্ব পুরস্কারের অনুমোদন দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ১৫ টি শৌর্য চক্র, চারটি সেনা পদক (বীরত্ব) এবং ১১৬টি সেনা পদক, একটি অশোক চক্র এবং একটি কীর্তি চক্র। এই কীর্তি চক্র আবার শান্তিকালীন বীরত্ব পুরস্কারের ক্রমানুসারে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর শ্রীনগর শহরের উপকণ্ঠে সেনা-পুলিশ যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হয় এক কমান্ডার সহ একাধিক লস্কর জঙ্গি। ওই লড়াইয়েই মারা যান জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এএসআই বাবু রাম। সূত্রের খবর, ওই সময় শ্রীনগরের কাছে পান্থাচক এলাকায় নাকা তল্লাশি চালাচ্ছিল যৌথ বাহিনী। তখনই নাকা পার্টির কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তিন জঙ্গি। কিন্তু বাহিনী তৎপর থাকায় তাদের চেষ্টা সফল হয়নি। এরপরই বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। শেষে গুলির লড়াইয়ে ওই বেশ কয়েকজন জঙ্গিকেও খতম করা হয়। ভারতীয় বাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়। তখনই গুলির লড়াইয়ে প্রাণ যায় বাবু রামের।
আরও পড়ুন- জঙ্গি দমনে ঝরেছে রক্ত, প্রজাতন্ত্র দিবসে শৌর্যচক্র পেলেন দেশের ৬ বীর জওয়ান
এদিকে বাবু রামের তৎপরতার কারণেই শুরুর অভিযানেই জঙ্গি নিকেশে সফল হয় সেনা। যদিও ওই যাত্রায় আর প্রাণে বাঁচতে পারেনি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এই সাহসী পুলিশ কর্মী। এদিকে তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে উপত্যকার পুলিশ ও সেনা মহলে। এমতাবস্থায় এবার এই বীর পুলিশ কর্মীকে মরোণত্তোর অশোক চক্র দেওয়ায় স্বভাবতই খুশি তাঁর আত্মীয় স্বজনেরা।
আরও পড়ুন- প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে করেছেন দেশের সেবা, রাষ্ট্রপতির হাত থেকে বীরত্বের পুরষ্কার কতজন জওয়ান