নর্দান কমান্ড মূলত জম্মু ও কাশ্মীরে নাশকতা, বিচ্ছিন্নতাবাদ সহ সমস্ত বিদ্রোহী কার্যকলাপ দমানোর কাজ করে থাকে। একইসঙ্গে উভয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ রেখাও রক্ষা করে থাকে।
পূর্ব লাদাখে চিনের চোখ রাঙানি এখনও কমেনি (Chinese Influence in East Ladakh)। এদিকে এরইমধ্যে এবার মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর উত্তর এবং পূর্ব কমান্ডের (Indian Army's North and East Command) জন্য নতুন কমান্ডার নিয়োগ করেছে কেন্দ্র সরকার (Central Government)। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে সেনা মহলে। এই দুটি কমান্ডই চিনের সাথে ভারতের সীমান্তের একটি বড় অংশ দেখাশোনা করে। সূত্রের খবর লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরপি কলিতাকে কলকাতায় নতুন ইস্টার্ন আর্মি কমান্ডের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ পান্ডের জায়গায় দায়িত্ব নিচ্ছেন। অন্যদিকে সেনাবাহিনীর নতুন উপপ্রধান হিসেবে সেনা সদর দফতরে যাচ্ছেন পান্ডে। একই সময়ে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীকে নর্দার্ন আর্মি কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে সেনাবাহিনীর প্রধান এবং জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াই কে জোশীর জায়গায় আসছেন।
এদিকে নর্দার্ন কমান্ড আবার জম্মু ও কাশ্মীরে নাশকতা, বিচ্ছিন্নতাবাদ সহ সমস্ত বিদ্রোহী কার্যকলাপ দমানোর কাজ করে থাকে। একইসঙ্গে উভয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ রেখাও রক্ষা করে নর্দান কমান্ড। চিনা আক্রমণের বিরুদ্ধে চলমান অপারেশন স্নো লেপার্ডের মাধ্যমে নর্দান কমান্ড লাদাখ অঞ্চলকেও পরিচালনা করে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই কমান্ডের নতুন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল দ্বিবেদী জাতীয় প্রতিরক্ষা একাডেমির একজন প্রাক্তন ছাত্রও ছিলেন। ১৯৮৪ সালে জম্মু ও কাশ্মীর রাইফেলসের ১৮তম ব্যাটালিয়নে তিনি প্রথম কাজ শুরু করেন। জেনারেল দ্বিবেদীর ৩৫ বছরেরও বেশি কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই সময়ে তিনি কর্মজীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদেও কাজ করেছেন। তিনি মণিপুরের অসম রাইফেলস সেক্টরে (অপারেশন রাইনো) একটি ব্যাটালিয়নেও কমান্ড করেছেন বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন-সেনার মুকুটে নয়া পালক, বীরত্বের জন্য বায়ুসেনা পদক পাচ্ছেন দুই সাহসী পাইলট
আরও পড়ুন- প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে করেছেন দেশের সেবা, রাষ্ট্রপতির হাত থেকে বীরত্বের পুরষ্কার কতজন জওয়ান
এই ক্ষেত্রে মনে রাখা ভালো ভারতের স্বাধীনতার পর ১৯৪৭ সালে নর্দান কমান্ডে বেশ কিছু বদল আনা হয়। সেই সময় ভারত সরকার উত্তর সীমান্তে অপারেশন তত্ত্বাবধানের জন্য একটি পৃথক কমান্ড তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ১৯৭২ সালে ফের এই কমান্ডের সংস্কার করা হয়। বর্তমানে নর্দান কমান্ডের সদর দফতর জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরে রয়েছে। অন্যদিকে সেনা-বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশের মতো উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে চিনের সাথে থাকা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) দেখভালের কাজ করে। এর সদর দপ্তর কলকাতাতেই। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্ব কমান্ড ১৯২০ সালে তৈরি হয়েছিল বলে জানা যায়। সেই সময় সেনাবাহিনীর মোট চারটি কমান্ড ছিল। এদিকে ভারতীয় সেনায় এই রবদবলে চিনের তরফে এখনও বিশেষ কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
আরও পড়ুন- গোটা বাংলাতেই নামছে কোভিড গ্রাফ, চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃতের সংখ্যা