বিহার বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পর পরিবার ও দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব কন্যা রোহিনী আচার্য। শনিবার বিকেলে পাটনা বিমানবন্দরে ভোটের ভরাডুবি নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিযোগের তির ছু়ড়লেন নিজেরই দাদা তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে। নাম নিলেন আরও একজনের। ‘রামিজকে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন’- কে এই রামিজ? যার জন্য অসন্তুষ্ট দল ও পরিবার ছেড়ে বেড়িয়ে গেলেন রোহিনী?
25
কী বলছেন যাদব কন্যা রোহিনী আচার্য?
বিহার নির্বাচনের ফ প্রকাশের পরই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি বার্তা পোস্ট করেন লালুপ্রসাদের মেয়ে রোহিনী আচার্য। সেখানে তিনি লেখেন যে- “আমি রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছি এবং পরিবারের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করছি। ঠিক এটাই আমাকে বলেছেন সঞ্জয় যাদব ও রমিজ। এর সম্পূর্ণ দায়িত্ব আমি নিজেই নিচ্ছি।”
35
কে এই রহস্যময় রামিজ?
জানা গিয়েছে যে, উত্তর প্রদেশের নেপাল সীমান্ত লাগোয়া বালরামপুর জেলার সাংসদ রিজওয়ান জাহিরের জামাই হল এই রামিজ। তার বাবার নাম নিয়ামতুল্লাহ খান। এদিকে রামিজের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তিনি বালরামপুরের তুলসীপুর নগরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ফিরোজ ‘পাপ্পু’ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত। ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি গুলি করে হত্যা করা হয় পাপ্পুকে। সূত্রের খবর, তুলসীপুরের চেয়ারপার্সন পদে নিজের মেয়ে জেবা রিজওয়ানকে বসাতে চাইছিলেন রিজওয়ান জহির। কিন্তু ফিরোজ আহমেদ ও পাপ্পু নাকি নিজেদের প্রার্থীকে জয়ী করতে সহায়তা করেন। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার জেরেই এই হত্যাকাণ্ডের চক্রান্ত গড়ে উঠেছিল বলে তদন্তকারীদের অনুমান।
পুলিশ সূত্রে খবর, একই মামলায় বর্তমানে ললিতপুর জেলে বন্দি রয়েছেন রিজওয়ান জাহির। এই অভিযোগে পুলিশ জেবা রিজওয়ান, তাঁর স্বামী রামিজ নেয়ামত এবং জাহিরকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। যদিও রামিজ ও জেবা বর্তমানে জামিনে মুক্ত। তবে জাহির এখনও জেলেই রয়েছেন। এছাড়া রামিজের বিরুদ্ধে তুলসীপুর (বলরামপুর) এবং কৌশাম্বী জেলার কোখরাজ থানায় খুনসহ গ্যাংস্টার অ্যাক্টে মোট ১২টি ফৌজদারি মামলা দায়ের রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
55
ঘর ছাড়লেন রোহিনী আচার্য
রোহিনী পেশায় চিকিৎসক। তিনি খুব বেশিদিন রাজনীতিতে ছিলেন না। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে (2024 Indian general election) বিহারের সারন (Saran) কেন্দ্রে আরজেডি প্রার্থী হন রোহিনী। তবে তিনি বিজেপি (BJP) প্রার্থী রাজীব প্রতাপ রুডির (Rajiv Pratap Rudy) কাছে হেরে যান রোহিনী। এবার তিনি দল ও পরিবারের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানালেন।