করোনাভাইররাসে আক্রান্ত অর্থনীতি
ভারতে গত দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বাজারের
ডলার প্রতি কমেছে টাকার দাম-ও
তবে শুধু ভারতের বাজার ময়, বিশ্বের শেয়ার বাজারই এদিন রয়েছে ঝিমিয়ে
বিশ্ব অর্থনীতি-ও করোনাভাইররাসে আক্রান্ত হল। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বা হু কোভিড-১৯ সংক্রমণ-কে বিশ্বব্যপী মহামারী হিসাবে ঘোষণা করার পরই বিশ্বজুড়ে শেয়ার বাজার ঝিমিয়ে রয়েছে। ব্যতিক্রম নয় ভারতের স্টক মার্কেট-ও। সেই সঙ্গে এদিন একধাক্কায় অনেকটা পড়েছে ভারতীয় টাকার দাম।
বৃহস্পতিবার, বাজার খোলার সময়ই টাকার দাম মার্কিন ডলার প্রতি ৮২ পয়সা কমে ৭৪.৫০ এ পৌঁছেছে। বুধবার মার্কিন ডলারের বিপরীতে বারতীয় টাকার দাম ছিল ৭৩.৬৮। এদিন অবশ্য দাম পড়েথে মার্কিন ডলার-এরও। ইয়েন প্রতি ১ শতাংশ দুর্বল হয়েছে মার্কিন ডলার। বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম-ও ত্র শতাংশ কমেছে। এতে ভারতীয় টাকার সুবিধাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের ফলে অর্থনীতিতে যে মন্দার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, তারই প্রভাবে ফের দাম পড়ল টাকার।
আরও পড়ুন - বিশ্বের অন্তত ১২০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা, শেষপর্যন্ত মহামারী ঘোষণা করল 'হু'
এদিন হু-এর ঘোষণার পরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র করোনভাইরাস মহামারীর মোকাবিলায় ইউরোপ থেকে আমেরিকায় ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আর তাতেই বিশ্বব্যাপী সেয়ারর বাজার তীব্র ক্ষতির মুখে পড়েছে। ভারতীয় শেয়ারবাজার গত ৩০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাজার খুলতেই দু'বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো এনএসই নিফটি ৫০ বেঞ্চমার্ক সূচক ১০ হাজারের নিচে নেমে যায়, ৫৮৩.৩৫ পয়েন্ট কমে ৯,৮৭৫.০৫ এ দাঁড়ায়। আর বিএসই সেনসেক্স সকালে ১,৯২৯.৮৭ পয়েন্ট নেমে ৩৩,৭৬৭.৫৩ এ পৌঁছেছে। ২০১৭ সালের অক্টোবরের পর সূচক কখনও এতটা নিচে নামেনি।
আরও পড়ুন - কর্নাটকে গণকবর, মাটিতে জ্যান্ত পুঁতে দেওয়া হল ৬০০০ মুরগি
নিফটির ৫০টি স্টকেরও সবগুলিরই এদিন দাম পড়েছে। ইয়েস ব্যাংক, টাটা মোটরস, আদানি পোর্টস, টাটা স্টিল, বেদান্ত, ওএনজিসি, জেএসডাব্লু স্টিল এবং এসবিআই-র সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। আর সেনসেক্সে সবচেয়ে পড়েছে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক এবং ইনফোসিসের সূচক।
আরও পড়ুন - করোনার ভয় নেই মুরগিতে, অভয় দিচ্ছে স্বাস্থ্য় দফতর
তবে ভারত একা নয়, এদিন এশিয়া-প্যাসিফিক শেয়ারের ব্রডকাস্ট ইন্ডেক্স, জাপানের নিকিকেই, অস্ট্রেলিয়ার সূচক, দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্পিআই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এসএন্ডপি ৫০০ ফিউচার, ইউরো স্টক্স ৫০ ফিউচার - গোটা বিশ্বেরই সেয়ার বাজার ক্ষতির মুখে পড়েছে।