সংক্ষিপ্ত

  • করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক মুরগির মাংসে
  •  মাংসে নেই করোনার জীবাণু তবুও গুজব
  • গুজবে ভর করেই মুরগি খাওয়া বন্ধ
  • বাধ্য় হয়েই অভয় দিলেন জেলা স্বাস্থ্য় আধিকারিক

গত কিছুদিন ধরেই রাজ্যজুড়ে ব্রয়লার পোল্ট্রি মাংসের ওপর করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক থাবা বসিয়েছে। কোথাও এই মাংসে করোনা ভাইরাসের জীবাণু না পাওয়া গেলেও গুজবে ভর করেই বিভিন্ন জায়গায় এই মাংস খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন লোকজন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার গিরিশচন্দ্র বেরা জানিয়েছেন,ব্রয়লার বা পোল্ট্রির মাংসে করোনা ভাইরাস-এর কোনও সম্পর্ক নেই। এখনও পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক ভাবে কোথাও প্রমাণিত হয়নি ব্রয়লারের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে।

দলে ঢুকতেই রাজ্য়সভার প্রার্থী,জ্য়োতিরাদিত্য় বাদে বিজেপির টিকিট পেলেন কারা

মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন,এটা মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে সঞ্চারিত হয়। পোল্ট্রি মাংসের মধ্যে এটা সঞ্চারিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই অযথা মুরগি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।সম্প্রতি এই গুজবের জেরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় পোল্ট্রি মাংস বিক্রির ক্ষেত্রে প্রচন্ড ভাটা তৈরি হয়েছিল। কোথাও ৫০ টাকা কোথাও ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এই আতঙ্কে ঘি ঢেলেছে কর্নাটকের ব্রয়লার মুরগির গণকবর দেওয়া।

তৃণমূল এবার রোদ্দুরের পিছনে, শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের

সম্প্রতি কর্নাটকের বেলগভীর এক পোল্ট্রি ব্যবসায়ীকে প্রায় ছয় হাজার মুরগি জ্যান্ত অবস্থায় গণকবর দিতে দেখা গিয়েছে। সেখানে ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে,এত বিপুল পরিমাণ মুরগি ফার্মে তিনি রাখতে পারছিলেন না, জলের দামে বিক্রিও করা যাচ্ছিল না। করোনা ভাইরাসের এই গুজবের মাঝে হিন্দু মহাসভা সহ একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রীতিমতো আমিষ ভক্ষণ-এর বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। তবে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এই মাংসে এখনও আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো কারণ পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ধরার আগেই 'চিরঘুমে' রোদ্দুর, ফেসবুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে 'রেস্ট ইন পিস'