শিয়ান বাহিনীর সরবরাহ লাইন বর্তমানে খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে। খুচরো জিনিসপত্র, তেল প্রায় সবই শেষের দিকে। রাশিয়ার এই অবস্থায় নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ভারতের। কারণ ভারত এখনও তিনটি বাহিনীর জন্য রাশিয়ার ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল।
গত দু সপ্তাহ ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine war) বাড়িয়ে দিল ভারতের (India) উদ্বেগ। কারণ সম্প্রতি একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসনের আগে চিনকে (China) তার সামরিক সরঞ্জাম (hardwar to help) ইউক্রেনে ব্যবস্থার করার প্রস্তাব দিয়েছে। পাশাপাশি ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য রাশিয়া চিনা অস্ত্রও চেয়েছিল। সোমবার রোমে অনুষ্ঠিত যুদ্ধ সম্পর্কিত বৈঠকের আগে বিশ্বজুড়েই উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে।
আলোচনার আগে হোয়াইটহাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান স্পষ্টভাবে চিনকে সতর্ক করে দিয়েছেন। বলেছেন চিন যদি রাশিয়াকে অস্ত্র দিয়ে বা যুদ্ধের সরঞ্জাম দিয়ে সহযোগিতা করতে তাহলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যেমন একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপান হয়েছে তেমই অবরোধ করা হবে চিনকেও। চিনকে আর্থিক অবরোধের মুখোমুখি হতে হবে বলেও সতর্ক করেছে আমেরিকা।
কিন্তু রাশিয়ান বাহিনীর সরবরাহ লাইন বর্তমানে খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে। খুচরো জিনিসপত্র, তেল প্রায় সবই শেষের দিকে। রাশিয়ার এই অবস্থায় নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ভারতের। কারণ ভারত এখনও তিনটি বাহিনীর জন্য রাশিয়ার ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। T-90 ট্যাঙ্ক, Su-30mki ফ্আটির জেট ও INS বিক্রমাদিতি বিমানবাহী রণতরী সবই নির্ভর করে রয়েছে মস্কোর পাঠানো সরঞ্জামের ওপর। রাশিয়ার ওপর পশ্চিমের দেশগুলির নিষেধাজ্ঞা ও মস্কোর ইউক্রেন ফ্রন্টে হার্ডওয়্যার নতুন মোড় নেওয়ার পরই অস্ত্রের খুচরো সরবরাহের চেইনটি কেটে ফেলা হবে কিনা তাই নিয়ে নতুন করে সংশয় দেখা গিয়েছে ভারতের মধ্যে। ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা নিয়ে বেশ কিছু চুক্তি হয়েছে। তবে তারই মধ্যে রাশিয়া জানিয়েছে S-400 মিসাইল সিস্টেম সরবহার বাধা পাবে না।
অন্যদিকে রাশিয়া চিনের কাছ থেকে অস্ত্র সাহায্য চেয়েছিল এই তথ্য সামনে আসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের বৈঠকের আগেই। যা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। কিন্তু সূত্রের খবর চিন এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার আহ্বানে সাড়া দেয়নি। তবে রাশিয়ার ইউক্রেনের আগ্রাসন চিনকেও সমস্যায় ফেলেছে। একদিকে আমেরিকা ও অন্যদিকে রাশিয়া- দুটি বাণিজ্যিক অংশীদারী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা কঠিন করে দিয়েছে।
গত দুই সপ্তাহ ধরে চলা যুদ্ধে কিছুটা হলেও কোনঠানা রাশিয়া। এদিন বেলারুশ সীমান্ত শান্তি বৈঠকে বসার কথা দুই দেশের কূটনীতিকদের। সেখানেই যুদ্ধের সমাপ্তির পথ খুঁজবে দুই দেশ। এর আগেও তিনটি শান্তি বৈঠক হয়েছিল। তবে সেখানে যুদ্ধ সমাপ্তির পরিবর্তে মানবিক করিডোর ও যুদ্ধ বিরতি নিয়ে দুই দেশে সহমত পোষণ করেছিল।
গান্ধীদের হাতে কি থাকবে কংগ্রেসের রাশ, রবিবার সিদ্ধান্ত হতে পারে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে
'স্ত্রী মেয়ে নয়', সুপ্রিম কোর্টে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করে স্বামী জানালেন গোপন রোগের কথা
প্রধানমন্ত্রী ঢালাও প্রশংসা কংগ্রেস নেতা শশী থারুর মুখে, উত্তর প্রদেশ জয়ের পুরো কৃতিত্ব মোদীর