সেনা সূত্রের খবর প্রথম মিসাইলটি মোতায়েন করা হয়ে পাকিস্তান ও চিনের সীমান্তবর্তী এলাকায়। যেখান থেকে দুটি দেশেরই হুমকি মোতাবিলা করা সম্ভব।
রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Russian President Vladimir Putin) ভারত সফরের (India Visit) কারণগুলির মধ্যে অন্যতম হল এস-৪০০ মিসাইল (S-400 Missile)। পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে সীমন্ত মোকাবিলা এটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর পুতিনের ভারত সফরের সময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) হাতে এই প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তুলে দিতে পারেন পুতিন। ভারতের সঙ্গে এক-৪০০ মিসাইল কেনার জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে রাশিয়ার।
সেনা সূত্রের খবর প্রথম মিসাইলটি মোতায়েন করা হয়ে পাকিস্তান ও চিনের সীমান্তবর্তী এলাকায়। যেখান থেকে দুটি দেশেরই হুমকি মোতাবিলা করা সম্ভব। ইতিমধ্যেই প্রতিরক্ষা সিস্টেমটির কিছু কিছু অংশ ভারতে আসতে শুরু করেছে। সামুদ্রিক ও আকাশ- উভয় পথে এই যুদ্ধ সরঞ্জাম আনা হয়েছে ভারতে। এই মিসাইলটি ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে যেকোনও লক্ষ্যবস্তুতে নিশানা করতে সক্ষম।
২০১৮ সালে ভারতের সঙ্গে এস-৪০০ মিসাইল কেনার চুক্তি হয়েছিল ভারতের। ৩৫ হাজার কোটি টাকার বিনিময় রাশিয়া ভারতকে পাঁচটি স্কোয়াড্রন দেবে। সেইচুক্তি মতই রাশিয়া অত্যাধুনিক এই মিসাইল সিস্টেম সরবরাহ করতে শুরু করেছে। জল ও আকাশ পথে মিলাইসগুলি ভারতে আনা হচ্ছে। চলতি বছরের শেষের দিকেই প্রথম স্কোয়াড্রন ডেলিভারি শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই মিলাইস সিস্টেম ভারতকে রীতিমত শক্তিশালী করবে। কারণ এটি ৪০০ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রু বিমান ও ক্রুজকে লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম হবে। এটি চারটি বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে তৈরি। যা শত্রুর বিমান, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, এয়ারবর্ন ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম প্লেনকে ৪০০ কিলোমিটার, ২৫০ কিলোমিটার, মাধারি পাল্লার ১২০ কিলোমিটার ও স্বল্প পাল্লার ৪০ কিলোমিটার নিযুক্ত করতে পারে। এই মিসাইল সিস্টেম ব্যবহারের জন্য ভারতীয় বায়ু সেনার সদস্যদের রাশিয়া প্রশিক্ষণ দিয়েছে। প্রথম স্কোয়াড্রোন মোতায়নের পর দেশেই বিমান বাহিনীর কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
সোমবার ঝটিকা সফরে ভারতে আসার কথা রয়েছে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির পুতিনের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মূল বিষয় হল এক ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের ভারত সফর রীতিমত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ চলমান মহামারির মধ্যে তিনি খুব একটা বিদেশ সফরে যাননি। তাই পুতিনের ভরত সফরের দিকে লক্ষ্য রয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র এমনকি আমেরিকারও। এর আগে পুতিন জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের জন্য জেনেভা গিয়েছিলেন।
একটি সূত্র বলছে আগামী দিনে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রম অনেকটাই কমিয়ে দিবে ভারত। উৎপাদ হবে দেশে। তবে প্রতিরক্ষা সামগ্রীর ৬-৭০ শতাংশই কেনা হবে রাশিয়া থেকে। পাশাপাশি খুচরো যন্ত্রাংশেরও একটি বড় অংশ রাশিয়া থেকে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে।
চিনের সঙ্গে চলমান সীমান্ত বিবাদের মধ্যেই পুতিনের এই ভারত সফর। অতীতে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ভালো সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্ককে আরও উন্নত করতে চাইছেন মোদী। যা কিছুটা হলেও চিনের অস্বস্তির কারণ হতে পারে। একটি সূত্র বলছেন সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট পুতিন সন্ত্রাসবাদ দমনের বিষয় নিয়েও আলোচনা করবেন। সূত্রের খবর দুই দেশই সন্ত্রাসবাদের হুমকি, সন্ত্রাসবাদে অর্থ সাহায্য, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা রুখতে আলোচনা করবেন। পরে একটি যৌথ বিবৃতিও দেওয়া হতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপানের সঙ্গে ভারতের কোয়াড উদ্যোগের বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থান ও ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। কারণ ২৬ নভেম্বর ভারত-চিন-রাশিয়া বৈঠকের সময় রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সর্গেই ল্যাভরভ এশিয়ার পক্ষেই সায় দিয়েছিলেন। ইন্দো-প্যাসিফিক-কে তিনি অসম অংশীদারিত্ব হিসেবেই বর্ননা করেছিলেন। গতকালই রাশিয়ান বিদেশ মন্ত্রীর সঙ্গে গোটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
Amit Shah On Nagaland: ভুলবশত গুলি নাগাল্যান্ডে, সংসদে স্বীকার করলেন অমিত শাহ
Crime Against Woman: 'পরিবারের সম্মান রাখতে' খুন, দিদির কাটা মুণ্ড নিয়ে ভাইয়ের পৈশাচিক উল্লাস
Pakistan Baby: 'সীমান্ত সন্তান', দেশহীন এক সদ্যোজাতর জন্মের গল্প