সংক্ষিপ্ত
গত জুন মাসে পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিলেন ১৯এর মহিলা। বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন স্বামীর বাড়িতে। তারপর দীর্ঘ দিন পরিবারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেননি মহিলা।
এক নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকল মহারাষ্ট্রের ওরঙ্গাবাদ (Mharashtra, Aurangabad) জেলা। স্বামীর বাড়িতে গিয়ে এক ১৯ বছরের মহিলাকে হত্যা (Woman Murder) করে মা ও ভাই মিলে। এখানেই শেষ নয়। দিদির কাটা মুণ্ড নিয়ে প্রতিবেশীদের সামনে ভাই মেতে ওঠে পৈশাচিক উল্লাসে। দিদির কাটা মুণ্ড নিয়ে গ্রামে ঘুরে বেড়ায় মৃতার নাবালক ভাই। দিদির মুণ্ড নিয়ে সেলফিও তোলে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পরিবারের সম্মতি ছাড়া নিজের ইচ্ছেয় বিয়ে করেছিলেন ১৯ এর মহিলা। তাই বিয়ের মাত্র ৬ মাস পরে নৃশংসভাবে নিজের মা ও ভাইয়ের হাতেই প্রাণ গেল মহিলার। পরিবারের সম্মান রক্ষায় খুন (Honor Killing) বা এমন ভয়ঙ্করর অনার কিলিংএর ঘটনায় কিছুটা হলেও হতবাক স্থানীয় প্রশাসন।
গত জুন মাসে পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিলেন ১৯এর মহিলা। বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন স্বামীর বাড়িতে। তারপর দীর্ঘ দিন পরিবারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেননি মহিলা। স্বামীর সংসারেই দিন কাটছিল তাঁর। কিন্তু গত সপ্তাহে যোগাযোগ করেছিলেন মায়ের সঙ্গে। দেখা করতে বলেছিলেন। পুলিশের অনুমান মহিলা সম্প্রতী গর্ভাবতী ছিলেন। তাই হয়ত নিজের সন্তান আসার কথা মাকে জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তারই পরিণতি হল ভয়ঙ্কর। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে মহিলা তাঁর মাকে স্বামীর বাড়িতে আসতে বলেছিলেন।
রবিবার অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর মহিলার মা ও তাঁর ভাই মেয়েটির স্বামীর বাড়িতে আসেন। মাঠে দিনমজুরের কাজ করছিলেন মহিলা। মা ও ভাইকে আপ্যায়ন করে নিজের বাড়িতে নিয়েগিয়েছিলেন। মহিলার স্বামী অসুস্থ ছিলেন। পাশের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। অন্য একটি ঘরে মহিলা তাঁর মা ও ভাইকে বসিয়ে তাদের জন্য চা ও জলখাবারের ব্যবস্থা করতে রান্না ঘরে গিয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ই মহিলার মা ও ভাই নিঃশব্দে রান্নাঘরে যায়। সেখানেই মা মেয়েটিকে চেপে ধরে রাখে আর ভাই একটি কাস্তে দিয়ে মহিলাকে কোপায়। রান্না ঘরে বাসন পড়ার আওয়াজে অসুস্থ স্বামীর ঘুম ভেঙে যায়। সেই সময় তিনি রান্না ঘরে ঢুকে দেখে তাঁর স্ত্রীকে তার মা ও ভাই হত্যা করছে। ভয় পেয়ে ঘর ছেড়ে কোনও রকমে পালিয়ে যান তিনি। পুলিশের জেরায় তেমনই জানিয়েছেন মৃতার স্বামী।
দিদিকে হত্যা করেই ভাই দিদির কাটা মুণ্ড নিয়ে মেতে ওঠে পৈশাচিক উল্লাসে। প্রতিবেশীদের দিদির কাটা মুণ্ড দেখায় ভাই। তারপর সেই মুণ্ড নিয়ে একের পর এক সেলফি তোলে সে। ময়েকে হত্যায় অভিযুক্ত মা ৩৪ বছরের শোভা সঞ্জয় মোটে ও তার ছেলে ১৮ বছরের সংকেত মোটে। দুজনে মৃত মেয়েটির স্বামীকেও হত্যা করতে গিয়েছিল। কিন্তু সে কোনও রকমে পালিয়ে যায় বলেও জানিয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে পরিবারের সম্মান রক্ষা করার জন্যই এই বীভৎস হত্যালীলা। তবে এর আগে মা ও ছেলে আরও দুবার মেয়ের শ্বশুর বাড়ি গিয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে আগেভাবে গিয়ে গোটা এলাকা রেইকি করে এসে খুনের পরিকল্পনা করে মা ও ভাই।
Jacqueline In Sukesh Case: সুকেশ মামলা অস্বস্তি আরও বাড়াল জ্যাকলিনের, দেশ ছাড়তে বাধা অভিনেত্রীকে
Pakistan Baby: 'সীমান্ত সন্তান', দেশহীন এক সদ্যোজাতর জন্মের গল্প