রবিবার থেকে প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেন ইস্যুতে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছেন। রাশিয়ার হামলা ও ইউক্রেনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। তবে তিনি সবথেকে জোর দিয়েছেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ থেকে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার কাজের ওপর।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) শনিবার সন্ধ্যায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের (Ukraine) পরিস্থিতি নিয়ে আরও একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক (high level meeting) করেন। একই সঙ্গে ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারের বিষয়টিও খতিয়ে দেখেন। এদিনের বৈঠকে বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করসহ উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
রবিবার থেকে প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেন ইস্যুতে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছেন। রাশিয়ার হামলা ও ইউক্রেনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। তবে তিনি সবথেকে জোর দিয়েছেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ থেকে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার কাজের ওপর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগেই কেন্দ্রীয় সরকার ভারতীয়দের উদ্ধারে অপারেশনা গঙ্গা চালু করেছে। বেসরকারি বিমান ছাড়াও বায়ু সেনার বিশেষ বিমানেও ভারতীদের দেশে ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে।
অফার শেষ হওয়ার আগেই পেট্রোল ট্যাঙ্ক ভরে নিন, পরামর্শ রাহুল গান্ধীর
যুদ্ধের ইউক্রেনে মানবতার নজির এক ভারতীয়র, খুলে দিলেন রেস্তোরাঁর দরজা
রবিবার মহারাষ্ট্র সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদী, উদ্বোধন করবেন পুনে মেট্রো রেল প্রকল্পের
এদিনের বৈঠকে বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য পীযূষ গোয়েল ছিলেন। আর ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন আমলা। ভারত তার নাগরিকদের সরিয়ে নিয়ে অপারেশন গঙ্গা শুরু করেছেন। ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিশেষ দূত হিসেবে চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেও পাঠিয়েছেন।
দুদিনের সফর সেরে আজই উত্তর প্রদেশ থেকে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লিতে ফিরেই তিনি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। অন্যদিকে উত্তর প্রদেশ সফরের আগেও তিনি এজাতীয় একটি বৈঠক করেছেন। সেদিনও তিনি ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারেই জোর দিয়েছেন।
এই নিয়ে ইউক্রেন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ষষ্ঠ বৈঠক করেন। যার সিংভাগ জুড়েই রয়েছে ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের নিরাপদে উদ্ধার করে আনা। এদিন ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আরও এক ভারতীয় ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছে। সূত্রের খবর আক্রান্ত ছাত্রেরও বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যাতে দ্রুত ভারতীয়দের দেশে ফেরানো যায় তার ওপরই তিনি জোর দিয়েছেন বলেও সূত্রের খবর।
এদিন উত্তর প্রদেশ থেকে ফেরার আগে তাঁর নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতে বিশিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তিনি বলেন, তাঁর পরিবারের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। তাও তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছেন। এটাই ভারতের গণতন্ত্র। তিনি দেশের জন্য কাজ করতে চান বলেও জানিয়েছেন। মানুষের উন্নয়ন করাই তাঁর প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন তাঁকে এখানে পাঠান হয়েছে। কিন্তু তার থেকেই বড় কথা বারাণসীর মানুষ তাঁকে আপন করে নিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন বারাণসীর মানুষ তাঁর মনে কথা বুঝে যায়। তিনি আরও বলেন মাত্র ১০ বছরের মধ্যেই তিনি দেশের অর্থনীতি বদলে দিতে পারবেন।