মহিলা তার নিজের মেয়েকে খুন করার খবর পেয়ে পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং সন্দেহের ভিত্তিতে ওই মহিলা রেখাকে জেরা করলে গোটা বিষয়টি আয়নার মতো পরিষ্কার হয়ে যায়।
রাজস্থানের কোটা জেলার আন্তা এলাকায় ছেলেকে জীবন দেওয়ার ইচ্ছায় নিজের মেয়ের প্রাণ কেড়ে নিলেন এক মা। অভিযুক্ত মা তার ১২ বছরের মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে । জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত মহিলা রেখা হাদা চমকপ্রদ তথ্য জানিয়েছেন, যা শুনে পুলিশও হতবাক। অভিযুক্ত মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন যে তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন যে বড় ছেলেকে বাঁচাতে হলে একজনকে বলি দিতে হবে। এরপরই ওই মহিলা এ অপরাধ করেন।
ডিএসপি তরুণ কান্ত সোমানি জানিয়েছেন, মহিলা তার নিজের মেয়েকে খুন করার খবর পেয়ে পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং সন্দেহের ভিত্তিতে ওই মহিলা রেখাকে জেরা করলে গোটা বিষয়টি আয়নার মতো পরিষ্কার হয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, রেখা তার স্বামী ও তিন সন্তানের সঙ্গে থাকেন। অভিযুক্ত মহিলার বড় ছেলে নিকেন্দ্রের হার্টে ছিদ্র রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এর সাথে এটাও প্রকাশ্যে এসেছে যে অভিযুক্ত মহিলা তার বড় ছেলেকে খুব ভালোবাসে। মহিলা তার ছেলের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত হতে শুরু করেন। এমতাবস্থায় তিনি স্বপ্ন দেখতে লাগলেন যে, একজনকে বলি দিলে হয়ত তাঁর ছেলে ভালো হয়ে যাবে।
মহিলা তার স্বামীর উপর হামলা করেছে
অভিযুক্ত মহিলা রেখার স্বামী শিবরাজ জানান, স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে এতটাই হতাশাগ্রস্থ হতে শুরু করে যে তার মানসিক ভারসাম্যও খারাপ হতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে কয়েকদিন আগে ওই মহিলা তাঁর স্বামী শিবরাজকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছিলেন, তবে শিবরাজ সময়মতো ঘুম থেকে উঠে যাওয়ায় কোনও রকমে বেঁচে যান তিনি। এর পরেও ছেলেকে বাঁচাতে কাউকে বলি দেওয়ার ভূত চেপে বসেছিল মহিলার মাথায়। বলা হচ্ছে, ওই মহিলা তাঁর ১২ বছরের মেয়ে সঞ্জনা এবং ৭ বছরের ছোট ছেলে সিংহমকে আক্রমণ করেছিলেন। কিন্তু কোনোমতে ছোট ছেলে পালিয়ে গেলেও মেয়েকে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ওই মহিলা।
কেরালায় মানুষের বলিদান
মনে করিয়ে দিই যে কেরালায় মানব বলির ঘটনা সামনে এসেছিল। চিকিৎসক দম্পতি প্রথমে দুই নারীকে বেঁধে নির্যাতন করেন, পরে হত্যার পর ৫০টির বেশি লাশ কেটে ফেলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কেরলের ত্রিরুভল্লায় কুসংস্কারের কারণে দুই মহিলাকে গলা কেটে খুন করে ডক্টর ভগবাল সিং ও তার স্ত্রী লায়লা। এরপর লাশ দুটিকে টুকরো টুকরো করে কবর দেওয়া হয়।
আততায়ীরা আত্মবিশ্বাসী ছিল যে এটি করলে তাদের ঘরে সম্পদ এবং জাঁকজমক আসবে। এ কাজে তাকে সাহায্য করেন মোহাম্মদ শফি নামে এক তান্ত্রিক। অভিযুক্ত তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন
চলন্ত ট্রেনে উঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ব্যবসায়ীকে একের পর এক কোপ, শিয়ালদহ লাইনে আতঙ্কে যাত্রীরা
রক্তে লাল ১৫ বছরের কিশোরের হাত! ক্রাইম পেট্রোল দেখেই পরিবারের চার সদস্যকে খুন বলে অনুমান পুলিশের