পুলিশের দেওয়া চা ছুঁয়েও দেখলেন না বিরোধী দলের নেতা, অদ্ভুত কারণ দেখিয়ে ঘুরিয়ে রাখলেন মুখ!

সমাজবাদী পার্টি অন্য একটি টুইটে অভিযোগ করেছে যে অখিলেশ যাদব যখন পুলিশ সদর দফতরে পৌঁছেছিলেন, তখন সেখানে কোনও দায়িত্বশীল আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন না।

Web Desk - ANB | Published : Jan 8, 2023 10:30 AM IST

উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং সমাজবাদী পার্টি সভাপতি অখিলেশ যাদব আজ ভোরে লখনউয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সদর দফতরে পৌঁছন। বলা হচ্ছে যে অখিলেশ যাদব সমাজবাদী পার্টির মিডিয়া সেলের টুইটার হ্যান্ডলার মণীশ জগন আগরওয়ালের গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরে পৌঁছেছিলেন। সমাজবাদী পার্টি এর আগে দাবি করে যে মণীশ আগরওয়ালকে লখনউ পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এই বিষয়েই পুলিশের সদর দফতরে পৌঁছন অখিলেশ। পুলিশ সদর দফতরে অখিলেশকে চা খেতে বলা হলে তিনি পুলিশের দেওয়া চা পান করতে অস্বীকার করেন।

পুলিশ সদর দফতরে অফিসারদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অখিলেশ যাদব বলেন, 'আমরা এখানে চাও খাব না। আমরা আমাদের চা দরকার পড়লে নিয়ে আসব এবং বাইরে পান করব। কি জানি চায়ে বিষ দিয়ে দেওয়া হতে পারে, এখানে কাউকে আমরা বিশ্বাস করি না।

 

সমাজবাদী পার্টি রবিবার টুইট করে জানায় যে দলের টুইটার হ্যান্ডেল অপারেটর মনীশ জগন আগরওয়ালকে লখনউ পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। টুইটে লেখা হয়েছে, 'সমাজবাদী পার্টির কর্মী মনীশ জগন আগরওয়ালকে লখনউ পুলিশের গ্রেপ্তারি, নিন্দনীয় ও লজ্জাজনক! পুলিশের উচিত অবিলম্বে এই সমাজবাদী পার্টি কর্মীকে ছেড়ে দেওয়া।

 

সমাজবাদী পার্টি অন্য একটি টুইটে অভিযোগ করেছে যে অখিলেশ যাদব যখন পুলিশ সদর দফতরে পৌঁছেছিলেন, তখন সেখানে কোনও দায়িত্বশীল আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন না। উল্লেখযোগ্যভাবে, লখনউতে অবস্থিত পুলিশ সদর দফতরে, উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি এবং অন্যান্য সিনিয়র অফিসাররা বসেন।

সমাজবাদী পার্টির টুইটার হ্যান্ডলারের বিরুদ্ধে তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বলা হচ্ছে এসপি মিডিয়া সেলের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটানা টুইট করার পর এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর আগে লখনউতে এসপি টুইটার হ্যান্ডেলের বিরুদ্ধে তিনটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল। হজরতগঞ্জ থানায় নথিভুক্ত এসব এফআইআরে এ ধরনের মামলায় অশালীন মন্তব্য করা হয়।

গোটা ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপি। একটি টুইট করে রাজ্যের এক বিজেপি নেতা জানিয়েছে সমাজবাদী পার্টি সন্ত্রাসবাদীদের ভরসা করে, কিন্তু রাজ্যের পুলিশকে নয়! নিজের রাজ্যের পুলিশের প্রতি এই বিশ্বাসহীনতা, তাদের দক্ষতাকে ও ক্ষমতাকে অসম্মান করে। রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অখিলেশ যে মনোভাব দেখিয়েছেন তা কাম্য নয়।

Share this article
click me!