সিএএ আন্দোলনকারীদের পোস্টার মামলায় সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা যোগী সরকারের

  • ইলাহাবাদ হাইকোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা যোগী সরকারের
  • ইলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে স্থাগিতাদেশ দিতে নারাজ শীর্ষ আদালত
  • সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে উদ্বেগ থাকলেও কিছু করার নেই 
  • আইন আইনের পথেই চলবে

Asianet News Bangla | Published : Mar 12, 2020 8:38 AM IST / Updated: Mar 12 2020, 02:41 PM IST

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদের পোস্টার মামলায় আবারও ধাক্কা খেল উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। এবার সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল সরকার। ইলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল উত্তর প্রদেশ সরকার। কিন্তু ইলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট।  পাশাপাশি শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, বিস্তারিত শুনানির জন্য এই মামলা তিন বিচারপতির বেঞ্চে পাঠান হবে। 

আরও পড়ুনঃ তামিল রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতেই নতুন দল, ঘোষণা থালাইভা রাজনীকান্তের

সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের পোস্টার মামলায় ইলাহাবাদ হাইকোর্টের মতই চড়া সুরে উত্তর প্রদেশ সরকারকেআক্রমণ করেছে শীর্ষ আদালত। অভিযুক্তদের ছবি, নাম ও ঠিকানা দিয়ে  পোস্টার দেওয়ার মত কঠোর সিন্ধান্ত কেন নিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার? তা জানতে চেয়েছ সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি বলেছে বিষয়টি নিয়ে উত্তর প্রদেশ সরকারের উদ্বেগ তারা বুঝছে। কিন্তু উত্তর প্রদেশ সরকার যে পথ অবলম্বন করেছে তাতে আইনের কোনও সমর্থন নেই।  বিচারপতি ইউইউ ললিত ও অনিরুদ্ধ বোসের বেঞ্চ জানিয়েছে, সরকারের এই পদক্ষেপের সমর্থনে কোনও আইন নেই। 

আরও পড়ুনঃ মুম্বইতে এবার করোনার থাবা, দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬৮, পিছোতে পারে আইপিএল ম্যাচ

ইলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল কোনও অভিযুক্তের ছবি নাম ও ঠিকানা দিয়ে পোস্টার দিলে খুন্ন হয় ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত পরিসর। সুপ্রিম কোর্টে উত্তর প্রদেশ সরকারের হয়ে মামলা লড়েছিলেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেটা। তিনি বলেন ব্যক্তিহত পরিসররের একটি ভিন্ন দিক রয়েছে। কিন্তু শীর্ষ আদালতের বিচারপতি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন এই পদক্ষেপ নেওয়ার মত শক্তি কোথা থেকে পেল উত্তর প্রদেশ সরকার। শীর্ষ আরও বলেছে, অন্যায়কে অবস্যই রুখতে হবে। কিন্তু তা আইনের বাইরে  গিয়ে নয়। 

আরও পড়ুনঃ এইডস-কে জয়, চিকিৎসাশাস্ত্রে নয়া দিশা দেখালেন ভারতীয় গবেষক

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে পথে নেমেছিল উত্তরপ্রদেশের মানুষ। সেই আন্দোলন অগ্নিগর্ভ হয়ে পড়ে। নষ্ট হয় প্রচুর সরকার সম্পত্তি। তারপরই পথে নামে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। অভিযুক্তদের থেকেই ক্ষতিপুরণ আদায়ের হুমকি দেওয়া হয়। সেখানেই থেমে থাকেনি সরকার। ৫৩ জন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে তাঁদের নাম ঠিকানা ও ছবি দিয়ে পোস্টার বানিয়ে তা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গুলিতে টাঙিয়ে দেওয়া হয়। ইলাহাবাদ হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করেছিল। সেখানেই পোস্টার খোলারা নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। আগামী ১৬ মার্চের মধ্যে অভিযুক্তদের নাম, ঠিকানা দিতে যোগী সরকার যে পোস্টার লাগিয়েছিল তা খুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ তুলে রীতিমত তিরোস্কার করা হয়েছিল উত্তর প্রদেশ সরকারকে।

Share this article
click me!