মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়াদিল্লি সফরের প্রথম দিনের কর্মসূচি (Mamata Banerjee New Delhi Visit Schedule)। প্রথম দিনই পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যাতেই চারদিনের সফরে নয়াদিল্লি (New Delhi) গিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গেও সাক্ষাত করার কথা। তবে তা কবে হবে, এখনও জানা যায়নি। সোমবার, নয়াদিল্লি সফরের প্রথম দিনে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী নয়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচিতে রাজধানীর অন্যান্য কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দিল্লি সফরের প্রথম দিনে বেলা দুটোর সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুধীন্দ্র কুলকার্নি (Sudhindra Kulkarni) এবং জাভেদ আখতারের (Javed Akhtar) সঙ্গে বৈঠক করবেন। তারপর দুপুর তিনটেয় বৈঠক রয়েছে পবন ভার্মার (Pawan Verma) সঙ্গে। কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন জাতীয় দলের ক্রিকেটার কীর্তি আজাদের (Kirti Azad) এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC) যোগ দেওয়ার কথা। তাঁর সঙ্গে মমতা বৈঠক করবেন বিকাল পৌনে পাঁচটায়। আর বিকাল পাঁচটা থেকে তৃণমূল নেত্রী বৈঠক করবেন অশোক তানওয়ারের (Ashok Tanwar) সঙ্গে।
আরও পড়ুন - Manish Tewri: কংগ্রেসকে চরম অস্বস্তিতে ফেললেন মণীশ তিওয়ারি, ২৬/১১ হল বিজেপির নতুন অস্ত্র
২৩ নভেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কর্মসূচি -
দুপুর ২টো - সুধীন্দ্র কুলকার্নি এবং জাভেদ আখতারের সঙ্গে বৈঠক
দুপুর ৩টে - পবন ভার্মার সঙ্গে বৈঠক
বিকাল ৪টে ৪৫ - কীর্তি আজাদের সঙ্গে বৈঠক
বিকাল ৫ টা - অশোক তানওয়ারের সঙ্গে বৈঠক
একসময় মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি (CPIM) সদস্য ছিলেন সুধীন্দ্র কুলকার্নি। ১৯৯৬ সালে তিনি বিজেপি-তে (BJP) যোদ দিয়েছিলেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর বক্তৃতা লিখে দিতেন। লালকৃষ্ণ আদবাণীর কৌশলী হিসেবেও কাজ করছেন২০০৯ সালে বিজেপি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি।
গত জুলাই মাসের দিল্লি সফরেও বিনোদন জগতের প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব তথা সোচ্চার বিজেপি বিরোধী, জাভেদ আখতারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেবার শাবানা আজমিও ছিলেন জাভেদের সঙ্গে। গীতিকার তথা কবি জাভেদ আখতারকে 'খেলা হবে' নিয়ে একটা নতুন গান বাঁধার অনুরোধও করেছিলেন মমতা।
একসময় ভুটানে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন পবন ভার্মা। পরে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের উপদেষ্টা ছিলেন। পদমর্যাদা ছিল মন্ত্রীর। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালের জুলাই পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। একসময় জনতা দল (ইউনাইটেড) দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা জাতীয় মুখপাত্রও ছিলেন তিনি।
কংগ্রেস নেতা কীর্তি আজাদ এবং অশোক তানওয়ার, দুজনেই এদিন তৃণমূলে যোগ দেবেন বলে শোনা যাচ্ছে। ক্রিকেট ছাড়ার পরই কীর্তি আদাজ যোগ দিয়েছিলেন রাজনীতিতে। একসময় বিজেপির সাংসদ ছিলেন। পরে কংগ্রেসে যোগ দেন। আর হরিয়ানা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রাক্তন সভাপতি অশোক তানওয়ার, বর্তমানে সিরসার সাংসদ এবং অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির সেক্রেটারিও বটে।