সংক্ষিপ্ত
মরণোত্তর মহা বীর চক্র (Maha Vir Chakra) পদক পেলেন গালওয়ান সংঘর্ষে (Galwan Conflict) শহিদ হওয়া কর্ণেল সন্তোষ বাবুকে (Colonel Santosh Babu)। রাষ্ট্রপতি ভবনে (Rashtrapati Bhawan) তাঁর স্ত্রী ও মা-এর হাতে পদক তুলে দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ (Ram Nath Kovind)।
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনার (Chinese PLA) বিরুদ্ধে সংঘর্ষে (Galwan Conflict) শহিদ হওয়া কর্ণেল সন্তোষ বাবুকে (Colonel Santosh Babu), মঙ্গলবার মরণোত্তর মহা বীর চক্রে (Maha Vir Chakra) ভূষিত করা হল। তার সঙ্গে আরও ৫ জন সাহসী সেনা জওয়ানকে বীর চক্র (Vir Chakra) পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবনে (Rashtrapati Bhawan) রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ (Ram Nath Kovind) এই পুরস্কার প্রদান করেন।
মহাবীর চক্র কর্নেল সন্তোষ বাবু ছাড়া, অন্যান্য যে সাহসী সেনারা বীর চক্র পুরস্কার পেলেন, তারা হলেন - নায়েব সুবেদার নুদুরাম সোরেন (১৬ বিহার রেজিমেন্ট), হাবিলদার কে পিলানি (৮১ ফিল্ড রেজিমেন্ট), নায়েক দীপক কুমার (আর্মি মেডিকেল কর্পস - ১৬ বিহার) এবং সিপাই গুরজেত সিং (৩ পাঞ্জাব রেজিমেন্ট)। এঁরা সকলেই মরণোত্তর পদক পেয়েছেন। এছাড়া ৩ মিডিয়াম রেজিমেন্টের হাবিলদার তেজেন্দ্র সিং, চিন সেনাদের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ করে, তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করার জন্য বীর চক্রে ভূষিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন - Abhinandan Varthaman: অভিনন্দন বর্তমানকে 'বীরচক্র' দিয়ে সম্মানিত করলেন রাষ্ট্রপতি, দেখুন
আরও পড়ুন - Mamata In Delhi: প্রথম দিনই ৫ বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক, জেনে নিন মমতার দিল্লির কর্মসূচি
২০২০ সালের ১৫ জুন, ভারত ও চিনের সৈন্যদের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছিল (India China Standoff)। এই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন কর্নেল সন্তোষ বাবু। অপরদিকে, চিনের (China) অন্তত ৪০ জন সেনা নিহত হয়েছিল। তবে চিন কখনই তা স্বীকার করেনি। গালওয়ান উপত্যকায় মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে গিয়ে আত্মবলিদান দেওয়া বীর সেনাদের এবং একই সঙ্গে ১৯৬২ সালের চিন যুদ্ধের শহিদদের স্মরণে, পূর্ব লাদাখের রেজাং লা-য়, 'রেজাং লা যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ' নির্মিত হয়েছে। গত ১৮ নভেম্বর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এই সৌধটির উদ্বোধন করেন। এই স্মৃতিস্তম্ভটি -তে অবস্থিত।
"
চলতি বছর স্বাধীনতা দিবসের সময়ই কর্নেল সন্তোষ বাবুকে মরোণোত্তর মহা বীর চক্র প্রদানের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এদিন তাঁর শহিদ কর্নেল সন্তোষ বাবুর মা ও স্ত্রীর হাতে এই বীরত্বের পদক তুলে দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ। এর আগে সোমবার, ২২ নভেম্বর, রাষ্ট্রপতি, ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন অভিনন্দন বর্তমানের হাতে বীর চক্র পুরস্কার তুলে দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পর মিগ-২১ বিমান নিয়ে প্রথমে পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানকে তাড়া করে, তারপর গুলি করে সেটিকে ভূপাতিত করেছিলেন। সেই সময় তিনি ছিলেন উইং কমান্ডারের পদে। তাঁর অদম্য সাহসকে সম্মানিত করা হয়েছে বীর চক্র পদক দিয়ে। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে ওই দিন আরও কয়েকজন বীর সেনানিকেও সম্মাননা প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি।
যুদ্ধের সময় রণাঙ্গণে বীরত্বের পরিচয় দেওয়ার জন্যই বীর চক্র পুরস্কার দেওয়া হয়। এটি ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ সামরিক পুরস্কার। ভারতের সর্বোচ্চ সামরিক পুরস্কার হল পরম বীর চক্র। তারপরই রয়েছে মহা বীর চক্র। যে পদক দেওয়া হল শহিদ কর্নেল সন্তোষ বাবুকে। তারপরই রয়েছে বীর চক্র। ১৯৪৭ সালে প্রথম বীর চক্র পদক দেওয়া হয়েছিল। অভিনন্দন বর্তমানের আগে আরও ৩৬১ জন বীর চক্রে পদকে ভূষিত হয়েছেন। অন্যদিকে মহা বীর চক্র প্রাপকদের তালিকায় কর্নেল সন্তোষ বাবুর নাম রয়েছে ২১৯তম স্থানে। এঁদের মধ্যে অনেকেই এই পদক পেয়েছেন মরণোত্তর সম্মান হিসাবে।