দোল উৎসবে দেশ সেজেছে বিভিন্ন রঙে
শেয়ার মার্কেটে একটাই রঙ, লাল
নিফটি ও সেনসেক্স দুই বেঞ্চমার্কের মার্কেট ইক্যুইটি-ই ৬ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে
করোনাভাইরাস ছাড়াও আরও দুই ঘটনার সম্মিলিত প্রভাব এর কারণ
সোমবার দেশ জুড়ে উদযাপিত হচ্ছে হোলি বা দোল উৎসব। সারা দেশ যখন বিভিন্ন রঙের মেলবন্ধনে সেজে উঠেছে, তখন শেয়ার মার্কেটে এদিন একটাই রঙ জ্বলজ্বল করছে, লাল। কারণ নিফটি ও সেনসেক্স দুই বেঞ্চমার্কের মার্কেট ইক্যুইটি-ই এদিন রেকর্ড ৬ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে। বিনিয়োগকারীরা একদিনেই বাজার মূলধনে ৬ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি লোকসান করেছেন। সূচকের এই রেকর্ড পতনের পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হচ্ছে - করোনাভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণের কারণে বিশ্বব্যপী অস্থিরতা, অপরিশোধিত তেলের দামের ব্যাপক পতন এবং ইয়েস ব্যাঙ্ক।
আরও পড়ুন - খোলার সময়ই ধাক্কা খেল সেনসেক্স, পড়ল ১,৭০০, নিম্নগামী অপরিশোধিত তেলও
এদিন বাজার খোলার সময়ই দুই বেঞ্চমার্ক সূচকই প্রায় চার শতাংশ নিচে ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আরও নিম্নগামী হয়েছে। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ সেনসেক্স এদিন বেলা দেড়টা নাগাদ ২৩২৬.৩৫ পয়েন্ট বা ৬.১৯ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৩৫,২৫০.২৭-এ দাঁড়িয়েছে, আর ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ নিফটি ৬৪৬.৯৫ পয়েন্ট বা ৫.৮৯ শতাংশ হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় ১০,৩৪২.৫০-তে। একদিনের মধ্যে সেনসেক্সের এটাই সবচেয়ে বড় পতন। নিফটিও ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের পর এই প্রথম ১০,৫০০-এর নিচে নেমে গিয়েছে।
এদিন বাজার শুরুর সময়ই বিএসই সেনসেক্স ১,৪০৯.০৫ পয়েন্ট বা ৩.৭৫ শতাংশ কমে ৩ ৬,১৬৭.৫7 পয়েন্টে ছিল, আর এনএসই নিফটি ৪০২.৩০ পয়েন্ট বা ৩.৬৬ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ১০,৫৮৭.১৫ এ ট্রেড করছিল। সোমবারের এই রেকর্ড পতনে শেয়ার বাজারে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আইওসি, এইচপিসিএল, ওএনজিসি, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ইন্ডাসল্যান্ড ব্যাঙ্ক, টাটা স্টিল-এর মতো সংস্থাগুলির শেয়ার সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে। এনএসই নিফটি-র সেক্টরাল সূচকগুলিও নেতিবাচক অবস্থানেই ছিল।
শেয়ার বাজারের এই রেকর্ড পতনের পিছনে সরাসরি আঙুল তোলা হচ্ছে চিন-সহ গোটা বিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রভাবের দিকে। তবে এই প্রভাব গত কয়েকদিন ধরেই টের পাওয়া যাচ্ছিল বাজারে। কিন্তু আচমকা এই পতনের পিছনে ইয়েস ব্যাঙ্কের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ এবং অপরিশোধিত তেলের দামে ব্যাপক পতনে দেশের বড় বড় তেল সংস্থাগুলির আকস্মিক ধাক্কা - এই দুই ঘটনার সম্মিলিত প্রভাবে বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি উদ্বিগ্ন বলে মনে করা হচ্ছে।