দিল্লিতে মমতার ভাষণ শুনতে বিরোধী নেতারা, শহিদ দিবসে ইতিমধ্য়েই উপস্থিত পি চিদম্বরম

দিল্লির সংবিধান ক্লাবে মমতার ভাষণ শুনতে উপস্থিত বিরোধীরা। তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচিতে পি চিদম্বরম সহ বিরোধী নেতারা ইতিমধ্যেই উপস্থিত হয়েছেন। বুধবার   মমতার ২১ জুলাইয়ের ভাষণ শুনতে চলেছে দেশের একাধিক রাজ্য।  
 

দিল্লির সংবিধান ক্লাবে মমতার ভাষণ শুনতে উপস্থিত বিরোধীরা। তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচিতে পি চিদম্বরম সহ বিরোধী নেতারা ইতিমধ্যেই উপস্থিত হয়েছেন। বুধবার   মমতার ২১ জুলাইয়ের ভাষণ শুনতে চলেছে দেশের একাধিক রাজ্য।  

আরও পড়ুন, ২১ জুলাই আটাশ বছর আগে ঠিক কী হয়েছিল, জানুন আজ কেন শহিদ দিবস

Latest Videos


দিল্লির সংবিধান ক্লাবে মমতার ভাষণ শুনতে এসেছেন একাধিক দলের নেতা। অকালি দল, আরজেডির সাংসদ ছাড়াও সেখানে এসেছেন এনএসপি নেতা শরদ পাওয়ার, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম, দিগ্বিজয় সিংহ সহ বিরোধী দলের নেতারা। পি চিদম্বরম স্বাগত জানান সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়। পাশপাশি আমেদাবাদেও মমতার ভাষণ সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উল্লেখ্য,সারা দেশের মাঝে তৃণমূলের তালিকায় সবার উপরে নাম রয়েছে মোদী রাজ্য গুজরাটের। সূত্রের খবর, গুজরাটের ৩২ টি জেলার ৫০ টি জায়েন্ট স্ক্রিন লাগিয়ে মমতার ভাষণ শোনানো হবে। জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হবে দিল্লিতেও। পাশপাশি যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশের একাধিক জেলায় জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়ে শোনানো হবে মমতার ভাষণ। আয়োজনের সম্ভার থাকছে তামিলনাড়ু, পঞ্জাব এবং ঝাড়খন্ডেও। উত্তর-পূর্বের দুই রাজ্য অসম-ত্রিপুরাতেও থাকছে চব্বিশের লক্ষ্যভেদে জায়েন্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা।  তাই মমতার ২১ জুলাইয়ের ভাষণ শুনতে চলেছে সবমিলিয়ে ৬ থেকে ৭ টি রাজ্য।  

আরও পড়ুন, মোদী-যোগী সহ ৭ রাজ্যের জায়ান্ট স্ক্রিনে চলবে মমতার ভাষণ, ২১ জুলাই বড় পদক্ষেপ তৃণমূলের
 
প্রসঙ্গত, বছরটা ১৯৯৩, তখনও জন্ম হয়নি তৃণমূলের। রাজ্য শাসন করছে জ্য়োতি বসুর সরকার।  সেসময় রাজ্য যুব কংগ্রেসের নেত্রী তথা সভাপতি মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সেময় সিপিএমের বিরুদ্ধে ছাপ্পা-রিগিং-র অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। এহেন পরিস্থিতিতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে সচিত্র ভোটার পরিচয় পত্রের দাবিতে ২১ জুলাই মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তৎকালীন  রাজ্য যুব কংগ্রেসের নেত্রী তথা সভাপতি মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।  ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই মমতার ডাকে মহাকরণ অভিযানের জন্য কলকাতার রাজপথে নামে হাজারে হাজারে যুব কংগ্রেস কর্মীরা। রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক সচিবালয়ে এই অভিযান রুখতে তৎপর হয় পুলিশ। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে করা হয় ব্যারিকেড। কিন্তু মুহূর্তেই তা অন্যরুপ নেই। আচমকাই শুরু হয় গুলি বর্ষণ।  গুলিতে নিহত হন ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মী।  এই ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মীর মৃত্য়ুতে উত্তাল হয় রাজ্য-রাজনীতি। কার নির্দেশে গুলি চালাল পুলিশ, এপ্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। তারপর থেকে ১৯৯৩ সালের এই ঘটনার পর প্রতিবছর ২১ জুলাই দিনটিকে শহিদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। যদিও পরবর্তীতে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তবে ২১ জুলাই দিনটিকে আজও শহিদ দিবসের-র মর্যাদা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন, 'হিন্দু বাঙালি উদ্বাস্তুকে ভারতীয় মনে করে BJP', নিশীথের নাগরিকত্ব ইস্যুতে কোর্টের চ্যালেঞ্জ সায়ন্তনের

Share this article
click me!

Latest Videos

Viral Video! আবাসের টাকা ঢুকতেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাটমানি চাইছেন TMC কর্মী | Murshidabad Latest News
প্রেমের আড়ালে লক্ষাধিক টাকা লুঠ! প্রতারণার নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর কাহিনি | South 24 Parganas News Today
‘প্রণামের সংস্কৃতি ভুলে যাচ্ছে বাঙালি’ বিস্ফোরক মন্তব্য Dilip Ghosh-এর, দেখুন কী বলছেন | Dilip Ghosh
'কুমিল্লা ছেড়ে চলে যা' কুমিল্লায় বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতোর মালা! | Bangladesh News |
শীতের রাতে যমুনার আতঙ্ক! একের পর এক জঙ্গল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাঘিনী | Bandwan Tiger News