বাংলার বাইরে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে তৃণমূল সমর্থকদের উপর হামলা চালাচ্ছে বিজেপি। ২১ জুলাই টুইট করে এমনই অভিযোগ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলার বাইরে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে তৃণমূল সমর্থকদের উপর হামলা চালাচ্ছে বিজেপি। ২১ জুলাই টুইট করে এমনই অভিযোগ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে গোটা ভারতে উপস্থিতি তৈরির মঞ্চ হিসাবে ২১ জুলাই-এর মঞ্চকে ব্যবহার করতে চাইছে তৃণমূল। দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাব-সহ, অসম, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরা, তামিলনাড়ু - বিভিন্ন রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিনের বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচার করা হবে জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে।
একই দিনে তৃণমূলের জাতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বুঝিয়ে দিলেন, সব রাজ্যে ইতিমধ্যেই তৃমনমূলের উপস্থিতি রয়েছে, আর বিজেপির পক্ষ থেকে বল প্রয়োগ করে তা আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিন ত্রিপুরায় শেষ পর্যন্ত জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়ে মমতার বক্তৃতা সম্প্রচার করতে দেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে। উল্টে তৃমমূল কর্মী-সমর্থকদের উপর বিজেপি সরকারের পুলিশ লাঠি চালায়। অন্তত ১০০ জন তৃণমূল সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ ত্রিপুরা তৃণমূলের।
স্পষ্টতই, সেই ঘটনারই সমালোচনা করেন ডায়মণ্ড হারবারের সাংসদ। এদিন ইংরাজিতে টুইট করে তিনি বলেন, 'আমরা বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এই ধরনের ভয় দেখানোর কৌশলে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না! শহিদ দিবসে আমি আবারও বলছি, অত্যাচারী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৃণমূল এক ইঞ্চিও ছাড়বে না। যেই আসুক না কেন!'
২১-এর মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই ঘটনার নিন্দা করেন। বলেন, ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসকে ২১ জুলাই-এর সভা করতে দেওয়া হয়নি। এটা কি গণতন্ত্র?
আরও পড়ুন - 'পেগাসাস, মোদীর নাভিশ্বাস', সুপ্রিম কোর্টকে সুয়োমোটো মামলা করার আবেদন মমতার
আরও পড়ুন - BREAKING NEWS : অ-বিজেপি দলগুলিকে এককাট্টা হওয়ার ডাক, দিল্লি যাচ্ছেন মমতা
আরও পড়ুন - 'নজরদারি রাষ্ট্র বানাচ্ছে, মোদী সরকারকে প্লাস্টার লাগান', ভারতকে জোটের বার্তা মমতা
বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় সম্পাদক হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দায়িত্ব নিয়েই তিনি জানিয়েছিলেন, দলকে ভারতের রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়াটাই তাঁর লক্ষ্য। সেই পথেই এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা শোনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিভিন্ন দলের নেতা-নেত্রীদেরও। উপস্থিত হয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম, সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন, অকালি দলের প্রতিনিধি-সহ বিভিন্ন বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। ২০২৪ সালে বিরোধী দলের জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অনেকেরই পছন্দ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।