শাবানা আজমি, নাসিরুদ্দিন শাহ আর জাভেদ আখতার 'টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং'এর এজেন্ট, বললেন মন্ত্রী

আবারও বিতর্কিত মন্তব্য মধ্য প্রদেশের মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নরোত্তম মিশ্রের। শনিবার চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব শাবানা আজমি, নাসিরুদ্দিন শাহ আর জাভেদ আখতারকে 'টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং'এর এজেন্ট বলে অভিহিত করেন।

Saborni Mitra | Published : Sep 3, 2022 9:51 AM IST

আবারও বিতর্কিত মন্তব্য মধ্য প্রদেশের মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নরোত্তম মিশ্রের। শনিবার চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব শাবানা আজমি, নাসিরুদ্দিন শাহ আর জাভেদ আখতারকে 'টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং'এর এজেন্ট বলে অভিহিত করেন। 'টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং' এই শব্দটি সাধারণত বিজেপির নেতা ও কর্মী বা সমর্থকরা তাদের সমালোচক ও বিরোধীদের নিশানা করার জন্য ব্যবহার করেন। এখানেই শেষ নয় মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র শাবানা আজমি, নাসিরুদ্দিন শাহ ও জাভেদ আখতারকে শুধুমাত্র বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির সমস্যা নিয়ে সোচ্চার হওয়ার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। 

মন্ত্রী বলেছেন, 'শাবনা আজমি, নাসিরুদ্দিন শাব ও জাভেদ আখতারের মত লোকেরা টুকড়ে টুকড়ে গ্যাংয়ের স্লিপার সেলের এজেন্ট। এরা শুধুমাত্র বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে উত্তেজনা তৈরি করেন।' নরোত্তম মিশ্র এদিন অভিযোগ করেন শাবানা বিলকিস বানো নিয়ে সরব হয়েছেন। কিন্তু রাজস্থানে ঘটে যাওয়ার ঘটনা বা ছত্তিশগড়ের ঘটনা নিয়ে কখনই কিছু বলেননি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে শাবানি বিলকিস বানো ধর্ষকদের মুক্তি ইস্যুতে মন্তব্য করেছিলেন,  তাঁর কাছে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দেওয়ার কোনও ভাষা নেই। সেই প্রসঙ্গ তুলে নরেত্তম মিশ্র বলেন, শাবানা আজমি রাজস্থানের কানহাইয়া লালর হত্যা ও  ঝাড়খণ্ডের এক মহিলাকে পুড়িয়ে মারা ঘটনা নিয়ে কখনই সরব হন না এমনই অভিযোগ করেছেন তিনি। 


বিলকিস বানো নিয়ে শাবানা আজমি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন এই ঘটনায় দেশের সাধারণ মহিলাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। পাল্টা অপরাধীদের শক্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে। শুধু বিলকিস বানো নয়, শাবানা আজমি ও তাঁর স্বামী জাভেদ আখতার ও অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহ মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করে। তাঁরা তিনজনই এনআরসি আর  সিএএ-এর তীব্র সমালোচক।  প্রকাশ্যেই সমালোচনা করেছেন। যা বিজেপির চাপ বাড়িয়ে দিয়েছিল। 


সম্প্রতি বিলকিস বানোর ধর্ষকরা জামিনে মুক্তি পেয়েছে।  এই ঘটনার পর গোটা দেশেই তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টও কেন্দ্রের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে। বিজেপিও বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট তলব করছে। ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময় গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলা। তারপর থেকে দীর্ঘ আইনি যুদ্ধে রয়েছেন তিনি। দোষীদের ছেড়ে দেওয়ায় তিনিও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানিয়েছেন। 

আরও পড়ুনঃ

'দেশের সবথেকে বড় পাপ্পু অমিত শাহ', ED-র জেরার শেষে তোপ অভিষেকের

'মোদী স্বীকার করবেনতো আগের সরকারের কৃতিত্ব' বিক্রান্ত নিয়ে কৃষ্ণ মেমনের কথা বললেন জয়রাম রমেশ

মারধর করে অভিনেত্রী বানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কেন এমন কথা বললেন রেখা

Read more Articles on
Share this article
click me!