সংক্ষিপ্ত

প্রবীণ কংগ্রেস নেতা টুইট করে বলেন এটি গোটা দেশের কাছে একটি গর্বের মুহূর্ত। তবে এটি ২০১৪ সালের প্রজেক্ট এটা বললে খুবই ভুল বলা হবে। আইএনএস বিক্রান্ত হল প্রথন দেশীয় বিমানবাহী রণতরী, যা আজ চালু হল। তারপরই রমেশ বলেন, ১৯৯৯ সাল থেকে সমস্ত সরকারের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল এটি- তা কি প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করবেন?

আইএনএস বিক্রান্ত- ভারতের প্রথম দেশীয় রণতরী তাই নিয়ে এবার রাজনীতি শুরু। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আগের শাসকদলগুলির কাজকে উপেক্ষা করার জন্য আক্রমণ করেন। তিনি বলেন ১৯৯৯ সাল থেকে যেসব সরকারগুলি ভারতের শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করেছে তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল হল আইএনএস বিক্রান্ত। কারণ এই রণতরী তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। সেই সময় দিল্লির মসনদে ছিলেন বাজপেয়ী সরকার। তারপর টানা ১০ বছর রাজত্ব করেন মনমোহন সিং-এর নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। তারপর মোদী সরকার। 

প্রবীণ কংগ্রেস নেতা টুইট করে বলেন এটি গোটা দেশের কাছে একটি গর্বের মুহূর্ত। তবে এটি ২০১৪ সালের প্রজেক্ট এটা বললে খুবই ভুল বলা হবে। আইএনএস বিক্রান্ত হল প্রথন দেশীয় বিমানবাহী রণতরী, যা আজ চালু হল। তারপরই রমেশ বলেন, ১৯৯৯ সাল থেকে সমস্ত সরকারের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল এটি- তা কি প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করবেন? এখানেই শেষ করেননি কংগ্রেস নেতা। তিনি প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর আমলের কথাও ধরেন।তিনি বলেন 'আসুন আমরা আসল আইএনএস বিক্রান্তকেও স্মরণ করি। যেটি ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতের জয়ের রাস্তা তৈরি করে দিয়েছিল। অনেক নিন্দিত কৃষ্ণ মেনন আইএনএস বিক্রান্ত যাতে ভারত পায় তার জন্য অনেক কাটখড় পুড়িয়েছিলেন। আর আইএনএস বিক্রান্ত পাওয়ার জন্য মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন।' কৃষ্ণ মেনন ছিলেন জওহরলাল নেহেরুর আমলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। 


জয়রাম রমেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করে বলেছেন, 'আমাদের প্রধানমন্ত্রী কখনই শাসনের ধারাবাহিকতা স্বীকার করেন না।' আইএনএস বিক্রান্ত ভারতের জন্য একটি সফল প্রকল্প। কিন্তু এর কাজটি শুরু হয়েছিল ২২ বছর আগে.। প্রথমে বাজপেয়ী সরকার, তারপর মনমোহন সিং সরকার, তারপরে মোদী সরকার- ধারাবাহিকতা রয়েছে। এটি তৈরি করতে ২২ বছর লেগেছে। কৃতিত্ব সব সরকারের। 

কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড (সিএসএল)-এ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমারের উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নতুন নৌ চিহ্ন উন্মোচন করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী, যিনি ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের দ্বারা অনুপ্রাণিত একটি নতুন নৌ চিহ্নও উন্মোচন করেছিলেন বলেছিলেন যে দেশটি "দাসত্বের বোঝা থেকে মুক্তি দিয়েছে।" অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খান, মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং অজয় ​​ভাট এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল কমিশনিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আইএনএস বিক্রান্ত ২৬২ মিটার লম্বা ও ৬২ মিটার চওড়া।  সম্পূর্ণ লোড করার সম প্রায় ৪৩০০০ কিলোটন  ওজন হয়। এর সহনশীলতা ৭৫০০NM। সর্বাধিক গতি ঘণ্টায় ২৮ নটিকেল। তৈরিতে ব্যায় হয়েছে আনুমানিক ২০,০০০ কোটি টাকা। অত্যাধুনিক প্রায় সব বৈশিষ্ঠ্য় রয়েছে দেশীয়ভাবে তৈরি। এটি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার ছাড়াও মিগ ফাইটার জেট-সহ ৩০টি বিমান সমন্বয় এয়ার ইউং পরিচালনা করতে পারে। 

অসাধ্য সাধন ভারতীয় বিমান বাহিনীর, খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে ইজরায়েলি নাগরিককে উদ্ধার লাদাখের দুর্গম পাহাড় থেকে
ঔপনিবেশিকতার চিহ্ন থেকে মুক্তি, মোদীর হাত ধরে ভারতীয় নৌবাহিনী পেল নতুন পতাকা
কোচিতে বিক্রান্তের কমিশন নরেন্দ্র মোদীর হাতে, দেখুন নৌবাহিনীর অনুষ্ঠানের সেরা ছবিগুলি