ভারত ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া, আর্জেন্টিনা ও সৌদি আরবের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন হাসিনা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন মোদী। শুক্রবারই মুখোমুখী হবেন শেখ হাসিনা ও মোদী। তবে এবারের সাক্ষাৎ হায়দরাবাদ হাউস অথবা সাউথ ব্লকে নয়, বঙ্গবন্ধু কন্যাকে নিজ বাসভবনে আমন্ত্রণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ৭ লোককল্যাণ মার্গে হাসিনার সঙ্গে আলাপচারিতা করবেন মোদী। আন্তরিকতার বার্তা দিতেই এই গৃহঅভ্যর্থনার আয়োজন বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা। উল্লেখ্য আগামী শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয় জি২০ দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলন। ওই গোষ্ঠীর সদস্য নয় বাংলাদেশ। অথচ এই সম্মেলন শুরুর ঠিক একদিন আগেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশকেই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। এই পদক্ষেপ দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে বলেই ধারনা কূটনৈতিক মহলের।
সূত্রের খবর, এরপর ভারত ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া, আর্জেন্টিনা ও সৌদি আরবের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন হাসিনা। বাংলাশের নির্বাচনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা কি নয়াদিল্লিতে সফরকারী আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন? এক্ষুনি এই প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট করে জানাননি সংশ্লিষ্ট কর্তারা।
প্রসঙ্গত, জি২০ অধিবেশনের নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্র ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। সংসদের এই বিশেষ অধিবেশনের আমন্ত্রণপত্রে ইন্ডিয়ার বদলে দেশের নাম লেখা হল ভারত। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের পক্ষ থেজে বলা হয়েছে চিরাচরিত ভাবে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’-র পরিবর্তে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে আসন্ন অধিবেশনে কি তবে এই সংক্রান্ত প্রস্তাব পেশ করতে চলেছে মোদী সরকার।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর জি২০ অধিবেশনে অংশ নেওয়ার কথা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর। এই অধিবেশনের আমন্ত্রণ পত্র ঘিরেই শুরু হয়েছে তরজা। ভারতের রাষ্ট্রপতি কাউকে কোনও চিঠি লিখলে তাতে চিরাচরিত ভাবে লেখা থাকে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’ কথাটি। সেক্ষেত্রে এবারের বৈঠকে সেই জায়গায় 'প্রেসিডেন্ট অফ ভারত' লেখায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। হঠাৎ এই বদলের কারণ জানতে চেয়ে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ কংগ্রেসের।